জুনিয়র চিকিৎসকদের ধর্না মঞ্চে হাজির মুখ্যমন্ত্রী, কি জানালেন?
শনিবার দুপুরে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে জুনিয়র চিকিৎসকদের ধর্না মঞ্চে গিয়ে তাঁদের পাশে থাকার বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত সমস্যার সমাধান করে তাঁদের কাজে ফিরতে বললেন তিনি। পাশাপাশি জানালেন এবার থেকে মেডিক্যাল কলেজগুলির অধ্যক্ষই হবেন রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, 'আমি আন্দোলনের ব্যথা বুঝি। আমিও ছাত্র আন্দোলন থেকে উঠে এসেছি। আমার পোস্ট বড় কথা নয়, মানুষের পোস্ট বড় কথা। কাল ঝড়-জলে আপনারা কষ্ট করে বসে ছিলেন, আমিও কষ্ট পেয়েছি'।
তিনি বলেন,'কাল ঝড়-জলে আপনারা কষ্ট করে বসে ছিলেন, আমিও কষ্ট পেয়েছি। আপনারা ৩৩-৩৪ দিন রাস্তায় বসে আছেন, আমিও জেগে থেকেছি। আর কষ্ট না করে কাজে ফিরুন। প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, কথা বলে আপনাদের দাবি নিয়ে চিন্তাভাবনা করব'
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন 'কেউ আমার বন্ধু নয়, শত্রুও নয়। আমি নিহত নির্যাতিতার বিচার চাই। আমি চাই, দোষীদের যেন ৩ মাসের মধ্যে ফাঁসি হয়।'
এদিন তিনি বলেন, আর জি কর মেডিক্যালের রোগী কল্যাণ সমিতি ভেঙে দিলাম। বাকি সব মেডিক্যাল কলেজেরও ভেঙে দিলাম। নতুন করে তৈরি করব। তাঁর কথায়, হাসপাতালের উন্নতি, পরিকাঠামো, সব কাজ আমরা শুরু করে দিয়েছি এবং করব। সব হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতিতে, রাজ্যের সব মেডিক্যাল কলেজ, মাল্টি সুপার হাসপাতালে যত রোগী কল্যাণ সমিতি আছে, তাতে অধ্যক্ষদের চেয়ারম্যান করব, জুনিয়র ডাক্তাররাও সদস্য হবেন, সিনিয়র ডাক্তারও থাকবেন, নার্সও থাকবেন, একজন জনপ্রতিনিধি এবং পুলিশ থাকবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
মমতা আজ বলেন, "আপনাদের আন্দোলনের সমব্যথী এবং সমসাথী। আগেও সমস্যার সমাধান করেছি। আবারও চেষ্টা করব। আমাকে সময় দিন একটু।" ভিড় থেকে 'বিচার চাই' স্লোগান উঠলে মমতা বলেন, "নিশ্চয়ই বিচার হবে। সিবিআই-কে বলুন। আমি জোর করতে পারি না। আমি আবেদন করে গেলাম। আপনাদের ধর্নামঞ্চে আসার পর যদি মনে করেন, আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিন। আমার এটা শেষ চেষ্টা। করে গেলাম আপনাদের জন্য বাকিটা আমার উপর ছেড়ে দিলে বিচার পাবেন। অবিচার হবে না।"
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊