কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে রোজগার মেলা 

Gajol



কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে মালদার গাজোলে শুরু হলো রোজগার মেলা। তৃণমূল পরিচালিত গাজোল পঞ্চায়েত সমিতির সহযোগিতা এবং তপশিলি জাতি আদিবাসী প্রাক্তন সৈনিক কৃষি বিকাশ শিল্প কেন্দ্র নামক একটি সংগঠনের উদ্যোগেই সরাসরি বেশ কিছু বেকার যুবক-যুবতীদের হাতে বেসরকারি সংস্থার বিভিন্ন পদে কাজের জন্য নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হলো এই মেলার কর্মসূচি থেকে। মঙ্গলবার মালদা জেলার গাজোল ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সংলগ্ন একটি সাংস্কৃতিক ভবনে এই রোজগার মেলার অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে গাজোল সহ জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শিক্ষিত ছেলেমেয়েরা নিজেদের জীবনপঞ্জি সহ সমস্ত নথিপত্র নিয়ে উপস্থিত হন। এরপরই প্রশ্ন-উত্তর এবং মেধাবী পণা খতিয়ে দেখেই এই নিয়োগ পত্র দেওয়া হয়।

সংশ্লিষ্ট সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বেসরকারি বিভিন্ন ধরনের শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলিতে এই রোজগার মেলার মাধ্যমে শিক্ষিত ছেলেমেয়েরা বিভিন্ন পদে কাজের সুযোগ পাবেন। এই সংগঠনের মাধ্যমে বিভিন্ন ভাবে এই রোজগার মেলার প্রচার তুলে ধরার কাজ শুরু করা হয়েছে। আগামী বছর মার্চ মাসের মধ্যে প্রায় দশ হাজার বেকার ছেলেমেয়েদের এই রোজগার মেলার মাধ্যমে কর্মসংস্থান পাইয়ে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এদিনের এই কর্মসূচিতে উপস্থিত হয়েছিলেন সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সৌমেন কোলে, গাজোল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মোজাম্মেল হোসেন, তৃণমূল পরিচালিত মালদা জেলা পরিষদের সদস্য দীনেশ টুটু প্রমুখ।

এদিন প্রায় একশোজন চাকরিপ্রার্থী সরাসরি ইন্টারভিউতে যোগ দেন। এদিন সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সৌমেন কোলে বলেন, রাজ্যের প্রান্তিক এলাকার যুব কর্মপ্রার্থীদের কাজের অধিকারকে বাস্তবায়ন করার মধ্যে দিয়ে এক বিশাল অংশকে যুক্ত করার স্বপ্ন সার্থক করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। আশা করি প্রাথমিক পর্যায়ে পুজোর আগেই বেশকিছু কর্মপ্রার্থীর মুখে আমরা হাসি ফোটাতে পারব।

গাজোল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মোজাম্মেল হোসেন এবং মালদা জেলা পরিষদের নির্বাচিত সদস্য দিনেশ টুডু বলেন, সৌমেন কোলের সুপরিকল্পিত কর্মযজ্ঞে রাজ্যের সবচেয়ে বড় ব্লকের যোগদান এই বাংলাকে নতুন দিশা দেখাবে।