দণ্ড বাতিল! শ্রম আইন ভাঙার মামলায় বেকসুর খালাস ড. মহম্মদ ইউনুস
শ্রম আইন ভাঙার মামলায় গত জানুয়ারী মাসেই মহম্মদ ইউনুসকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল বাংলাদেশের আদালত। তাঁকে ছয় মাসের জেল সাজা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই মামলা থেকে এবার রেহাই মিললো নোবেলজয়ীর। ঢাকা আদালতের ছয় মাস জেলের রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করেছিলেন ইউনুস-সহ অন্যেরা। সেই শুনানিতেই বুধবার নতুন রায় জানিয়েছে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল।
ইউনুসের আইনজীবী আবদুল্লা আল মামুন ‘প্রথম আলো’কে জানিয়েছেন, ইউনূস-সহ মামলায় প্রাথমিক ভাবে দোষী সাব্যস্ত হওয়া চার জনকেই বুধবার বেকসুর খালাস ঘোষণা করেছে আদালত।
বাংলাদেশের সমাজকর্মী তথা একমাত্র নোবেলজয়ী ইউনুসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছিল। বাংলাদেশের শ্রম আইন অনুযায়ী যে কোনও সংস্থায় কর্মীদের কল্যাণমূলক তহবিল তৈরি করতে হয়। কিন্তু গ্রামীণ টেলিকমে ওই তহবিলের ব্যবস্থা ছিল না। যদিও ইউনুস জানিয়েছিলেন যে তিনি লাভের জন্য সংস্থা চালান না তাই এই আইন খাটে না। ইউনুস-সহ তাঁর সংস্থার তিন কর্মী আশরাফুল হাসান, নুর জাহান বেগম এবং মহম্মদ শাহজাহানের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলা হয়েছিল। সেই মামলায় ঢাকা আদালত দোষী সাব্যস্ত করে জেল ও জরিমানার রায় দিয়েছিল।
বাংলাদেশের মাটিতে মাইক্রোফাইন্যান্স ব্যাঙ্ক তৈরির জন্য নোবেল কমিটি মহম্মদ ইউনুসকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেন। তাঁর এই উদ্যোগ বাংলার দরিদ্র মানুষদের অনেক সুবিধা দিয়েছে। দরিদ্র সীমা থেকে উপরে উঠতে দিয়েছে। যদিও তাঁর দেশের সরকার অন্য মনোভাব প্রকাশ করেছিল। বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবরই ইউনুসের সমালোচনা করেছেন প্রকাশ্যে। এমনকি, ইউনূসকে ‘গরিবের রক্তচোষা’ বলেও অভিহিত করেছেন।
অশান্ত বাংলাদেশ। অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। গত কয়েক দিনে বাংলাদেশে ক্ষমতার কুর্সিতে রদবদল হওয়ায় শেখ হাসিনার শূন্যস্থানে বসতে চলেছেন সেই ইউনুসই।
0 মন্তব্যসমূহ
thanks