Potato Market: বড় সিদ্ধান্ত আলু ব্যবসায়ীদের ! সমস্যায় পড়তে চলেছে রাজ্য
potato



রাজ্যজুড়ে টান পড়তে পারে আলুর জোগানে। রাজ্যে আলুর চাহিদা মেটানো না পর্যন্ত ভিন রাজ্যে আলু রপ্তানী করা যাবে না।মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের বাংলা ঝাড়খণ্ড সীমানার ডুবুরডিহি চেকপোষ্টে একাধিক আলু বোঝাই ট্রাক আটকে দিল কুলটি থানার চৌরাঙ্গী ফাঁড়ির পুলিশ ও কুলটি ট্রাফিক গার্ডের পুলিশ। তবে এই দৃশ্য শুধু পশ্চিম বর্ধমানে নয়, রাজ্যের সর্বত্র। আর এরপরই বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে আলু ব্যবসায়ীরা।


অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন আলু ব্যবসায়ীরা। ব্য়বসায়ীদের অভিযোগ, আলুর দাম কমাতে ক্রমাগত সরকারি চাপে জেরবার তাঁরা। সেইসাথে ভিনরাজ্যে রপ্তানিতেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রাজ্য সরকার। এসবের প্রতিবাদেই অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দিলেন আলু ব্যবসায়ী সমিতি।


গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই বৃদ্ধি পেয়েছে আলুর দাম। রাজ্য় সরকারের একাধিক নির্দেশিকা জারি, কড় পদক্ষেপের পরও খুব বেশি লাভ হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের সাফ নির্দেশ ছিল, রাজ্যের চাহিদা পূরণ ও দাম নিয়ন্ত্রণ না হওয়া পর্যন্ত ভিনরাজ্যে আলু রপ্তানি চলবে না। রপ্তানি বন্ধে কড়া নজর রাখতে বিভিন্ন সীমানায় কড়া পাহারা বসেছে। যা নিয়ে ঘোর আপত্তি আলু ব্যবসায়ীদের।


শনিবার পূর্ব বর্ধমান থেকে ঝাড়খণ্ড অভিমুখে একাধিক আলু বোঝাই ট্রাক আটকালো পুলিশ। এরফলে বিপাকে পড়েছেন ট্রাক চালকেরা। ট্রাক চালকদের দাবি মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর আলু বোঝাই ট্রাক গুলো আটকে দিয়েছে পুলিশ। আলু বোঝাই ট্রাক গুলো বাংলা ঝাড়খন্ড সীমান্ত ডুবুরডিহি চেকপোস্ট থেকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়।


শনিবার বাঁকুড়ার জয়পুরের এক বেসরকারি হোটেলে বৈঠকে বসেছিলেন আলু ব্যবসায়ীরা। সেখানেই অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ প্রসঙ্গে আলু ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি বিদ্যুৎবরণ প্রতিহার সংবাদ মাধ্যমে জানান, রাজ্য সরকার রপ্তানির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। ফলে ব্য়বসার ক্ষতি হচ্ছে। তাঁর দাবি, হিমঘরের সামনে প্রতি কুইন্টাল আলু বিক্রি হচ্ছে ২৩০০ টাকায়। সেই হিসেবে এক কেজি আলুর দাম দাঁড়ায় ২৩ টাকা। অথচ খোলা বাজারে আলু বিকোচ্ছে ৩৫ টাকা কেজি দরে। হিমঘর থেকে বেরনোর পর বাজারে কীভাবে আলুর দাম বেড়ে যাচ্ছে, তা রাজ্য সরকারের দেখা উচিত বলে দাবি করেছেন আলু ব্যবসায়ীরা।


বিদ্যুৎবরণ প্রতিহার আরও জানান, এবার আলু চাষের মরশুমে বৃষ্টি হয়। যার ফলে প্রথম দফার ফলন নষ্ট হয়ে যায়। দ্বিতীয়বার চাষের সময় ফলন কম হয়েছে। ফলে জোগানে ঘাটকতি রয়েছে। এর মধ্যে ব্যবসায়ীরা ধর্মঘট ঘোষণা করায় বাজারে জোগানে টান পড়বে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।