vultures: শকুনের অভাবে পাঁচ লাখ মানুষের অকালমৃত্যু ! বাস্তুতন্ত্রের অবনতির কারণে বড় ধরনের বিপদ
ভারতে দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে শকুন-এর সংখ্যা, যা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য বড় হুমকি হয়ে উঠতে পারে। শকুনের অভাবের কারণে, পরিবেশগত বিপর্যয়ের কারণে 2000 থেকে 2005 সালের মধ্যে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষের অকালমৃত্যুর অনুমান করা হয়। গবেষণাটি বিজ্ঞান সাময়িকী আমেরিকান ইকোনমিক রিভিউতে প্রকাশিত হয়েছে।
গবেষক অর্থনীতিবিদ ইয়াল জি. ফ্রাঙ্ক এবং অনন্ত সুদর্শনের মতে, শকুন প্রায় বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ায় ভারতে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে। শকুন 90 এর দশক থেকে ভারতে অন্য যে কোনও প্রাণীর চেয়ে দ্রুত বিলুপ্ত হয়ে গেছে। গবেষণা অধ্যয়ন অনুসারে, শকুন ভারতের একটি প্রধান প্রজাতি, যা দেশের অনেক বাস্তুতন্ত্রের জন্য অপরিহার্য। এই শিকারী পাখিরা শুধু রোগে আক্রান্ত মৃতদেহই মেরে ফেলে না, অন্যান্য স্ক্যাভেঞ্জিং প্রাণীর জনসংখ্যাও কমিয়ে দেয়।
গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব এলাকায় শকুন কমেছে সেখানে কুকুরের সংখ্যা বেড়েছে। আর এই সকল কুকুরদের মধ্যে জলাতঙ্কের ঝুঁকিও পাওয়া গেছে। শকুনের মতো এরা মৃতদেহকে পুরোপুরি ধ্বংস করতে পারে না। যেখানে শকুনের দল 40 মিনিটে একটি মৃতদেহ পরিষ্কার করতে পারে।
1994 সালে, কৃষকরা ব্যথা এবং ফোলা নিরাময়ের জন্য গবাদি পশুদের 'ডাইক্লোফেনাক' নামে একটি ওষুধ দেওয়া শুরু করেছিল, আর এই প্রাণীগুলিকে খেয়ে ফেলা শকুনের জন্য মারাত্মক ছিল । এ কারণে তার কিডনি নষ্ট হয়ে যায়। এরপর মাত্র এক দশকে পাঁচ কোটিরও বেশি ভারতীয় শকুনের সংখ্যা মাত্র কয়েক হাজারে নেমে আসে।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊