দাবী মতন টাকা না দিলে বাচ্চাকে অভিশাপ দেওয়ার ভয় ! বৃহন্নলাদের উপর গুরুতর অভিযোগ
গ্রামগঞ্জে পৌঁছে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বলপূর্বক টাকা আদায়ের চেষ্টা বৃহন্নলাদের বলে অভিযোগ ধুপগুড়িতে। বাচ্চা হলেই ৫ হাজার চাই, বিয়ে হলেই ৫ হাজার চাই - বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে ঢুকে এরকমই জোর জুলুম করে টাকা নেওয়ার অভিযোগ বৃহন্নলাদের বিরুদ্ধে। এরকমই এক ঘটনায় ক্ষিপ্ত বাড়ি মালিকসহ এলাকাবাসীরা।
এই ঘটনায় জলপাইগুড়ি জেলার ধুপগুড়ি মহকুমার মাগুরমারী ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন এলাকাবাসীরা।ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন এলাকা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান। এরকমই এক ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় বর্তমানে ঘুরে বেড়াচ্ছে ।
যার সত্যতা যাচাই করতে সেই বাড়িতে পৌঁছে বাড়ির মালিক মনোরঞ্জন রায়ের সঙ্গে কথা বললে তিনি অভিযোগ করে বলেন সাত সকালে তার বাড়িতে এসে পৌঁছায় কয়েকজন বৃহন্নলা। তিনি আরো বলেন গত কয়েক মাস আগে মেয়ে সন্তান লাভ করেন তিনি। সেই কথা কোন এক মারফত জানতে পেরে তার বাড়িতে হাজির হয়ে পাঁচ হাজার টাকা দাবি করেন বৃহন্নলারা।
তিনি অভিযোগ করে আরো বলেন একই গ্রামে গঞ্জের খেটে খাওয়া মানুষ তার উপরে হঠাৎ করে এসে বিভিন্ন ভয় দেখিয়ে এমনকি বাচ্চাকে অভিশাপ দেওয়ার ভয় পর্যন্ত দেখিয়ে জোরপূর্বক পাঁচ হাজার টাকা দাবি করেন। যদিও তিনি প্রথমত কোনরকমে ১০০০ টাকা দিয়ে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু কোনোরূপভাবেই মানতে নারাজ হয় তারা। সেই বিষয়টিরই ভিডিও করেন এলাকার এক যুবক। পরে আরো জোর করে ৫০০ টাকা নিয়ে মোট ১৫০০ টাকা নিয়ে চলে যায় তারা।
অন্যদিকে এলাকাবাসীদের অভিযোগ এভাবেই বিভিন্ন সময়ে বৃহন্নলারারা একাধিক ভাবে মানুষকে উৎপীড়ন করছে। এমনকি একাধিক সময় মুখের ভাষা খারাপ করে, বিভিন্ন খারাপ অঙ্গভঙ্গির মধ্য দিয়ে ভয় দেখিয়ে লুট চালাচ্ছে বলেই অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। বিগত বেশ কয়েক মাস থেকে এই বৃহন্নলা দের উৎপীড়নের ঘটনা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। প্রতিবাদ করতে গেলেই মিলছে অসভ্য ভাষায় গালাগালি।
এ বিষয়ে রিপন ঘোষ নামে এক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন এভাবে জোরপূর্বক টাকা নেওয়া একেবারেই অনুচিত। তিনি আরো বলেন একদিকে দিন এনে দিন খাওয়া গ্রামের পরিবারগুলো হাসপাতালে প্রচুর টাকা খরচ করে সন্তান জন্ম লাভ করেন অপরদিকে সেই সময় বাড়িতে এসে জোরপূর্বক টাকা নিতে আসে বৃহন্নলারা।
এলাকার আরো এক ব্যক্তি ললিত রায় জানান বিষয়টি প্রশাসনের নজরদারির মধ্যে আনা দরকার, যাতে এক গরিব পরিবার তার নিজের সামর্থ অনুযায়ী দাবি পূরণ করতে পারে বৃহন্নলাদের।
এবিষয়ে মাগুরমারী ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার প্রধান বনশ্রী রায়ের বলেন তিনি এই বিষয়টি অবগত এবং এভাবে জোরপূর্বক টাকা নেওয়া অনুচিত বলে দাবি করেন তিনি। এ ব্যাপারে তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথাও বলবেন বলে জানান।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊