Loksabha Election 2024 Results: দিল্লীর মসনদ কার? উত্তর মিলবে মঙ্গলবার

Loksabha election


সম্পাদকীয়: 


বিশ্বের বৃহত্তর গণতন্ত্রের উৎসবে শেষ। ১৯শে এপ্রিল শুরু হয়েছিল দেশের সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। ১৯ এপ্রিল থেকে ১ জুন পর্যন্ত চলল এবারের ভোট গ্রহন পর্ব। ৭ টি পর্বে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় । ভোট গণনা হবে ৪ জুন। প্রথম ধাপে ১০২ টি, দ্বিতীয় ধাপে ৮৯ টি, তৃতীয় ধাপে ৯৪ টি, চতুর্থ ধাপে ৯৬ টি, পঞ্চম ধাপে ৪৯ টি, ষষ্ঠ ধাপে ৫৭ টি এবং সপ্তম ধাপে ৫৭ টি আসনে নির্বাচন হল। সব মিলিয়ে ৫৪৩টি লোকসভা কেন্দ্রের ভোট গ্রহনের পর যেকোনো দলকে বা জোটকে দিল্লীর মসনদ দখল করতে ম্যাজিক ফিগার ২৭২ স্পর্শ করতে হবে। আর যার গণনা মঙ্গলবার।

সারা দেশজুড়ে ৭টি দফায় নির্বাচন হয়। জায়গায় জায়গায় অশান্তির ছবি ধরা পড়েছিল। পশ্চিমবঙ্গেও সাত দফায় হয় নির্বাচন। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হিংসা-অশান্তির ছবি ফুটে উঠেছিল। শেষমেষ শেষ হয় ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া। সব দলের সব প্রার্থীদের ভাগ্য নির্ধারণ ৪ই জুন। ঠিক হয়ে যাবে কে দখল করছে দিল্লীর মসনদ, কে হবে দেশের প্রধানমন্ত্রী, কারাইবা ভারতজুড়ে প্রভাব ফেলেছে। সারা দেশ তাঁকিয়ে ফলের দিকে।

একদিকে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ (NDA) জোট, অন্যদিকে কংগ্রেস-সিপিআইএম সহ দলগুলির ইন্ডিয়া (I.N.D.I.A.) জোট। কার দখলে ভারত? শেষ দফা নির্বাচনের পর বিভিন্ন সংস্থার এক্সিট পোল প্রকাশ্যে এসেছে। এক্সিট পোল প্রকাশ্যে আসার পর চরম অস্বস্তিতে ইন্ডিয়া জোট। কারণ, প্রায় সব এক্সিট পোল বলছে দেশজুড়ে হবে গেরুয়া ঝড়। এমনকি বাংলাতেও গেরুয়া ঝড়ের ছবি ফুটে উঠেছে বুথ ফেরৎ সমীক্ষায়। যদিও এক্সিট পোল নিয়ে কার্যত মাথা ব্যাথা নেই ইন্ডিয়া জোট শরিকদের। তাঁদের কথায় এক্সিট পোল সবসময় মেলে না। অবশ্য তাও ঠিক। এক্সিট পোল ছাপিয়ে ফল যে স্পষ্ট হবে ৪ই জুন। সেটাই তো ফাইনাল।

কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী সর্বত্র জনতা কাকে চাইছে তাঁর উত্তর মেলার অপেক্ষায় ভারত। সকাল ৮টা থেকে শুরু হবে গণনা। নির্বাচনী লড়াইয়ে জয়ের আশায় গত কয়েক মাস ধরে দেশের কোনায় কোনায় হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলি সভা, মিছিল। সব মিলিয়ে ভোট উৎসব আপাতত শেষ। ভোট উৎসবের শেষ পর্ব ফল ঘোষনার দিকে তাঁকিয়ে মানুষ। গণতান্ত্রিক দেশে প্রত্যেক নাগরিকের একেকটা ভোটের মূল্য যে কতটা তার স্পষ্ট। নাগরিক কি চাইছে সেই উত্তর মিলবে কাল। 

প্রচার পর্বে এবার ছিল চমক। নরেন্দ্র মোদী, রাহুল গান্ধী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অমিত শাহ, শুভেন্দু অধিকারী, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, মহম্মদ সেলিম, অধীর রঞ্জন চৌধুরী, জেপি নাড্ডা, সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষ, ছিল একাধিক সুপারস্টার। সারা দেশের সাথে সাথে বাংলাতেও হয়েছে প্রচারের বন্যা । জানা গেছে প্রায় এক লক্ষ সভা-মিছিল সহ অন্যান্য রাজনৈতিক কর্মসূচি হয়েছে বাংলাতেই। সেই নিরিখে নাকি শীর্ষে বাংলাই। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, গোটা নির্বাচনে বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে তৃণমূল প্রচার কর্মসূচিতে হেলিকপ্টার ব্যবহার করেছে। সব মিলিয়ে জমজমাট ভোটের পর এবার দিল্লীর মসনদ কার দখলে যায় সেদিকেই তাঁকিয়ে ভারত।


এনআরসি, সিএএ, ইউসিসি সহ একাধিক ইস্যুতে বিরোধীরা সরব হয়েছে। দুর্নীতি থেকে ব্ল্যাক মানি এমন একাধিক ইস্যুকে হাতিয়ার করে রাজনীতির ময়দানের লড়াই শেষ। লড়াই শেষ হলেই কি হয়? ফলটা তো জরুরী। কে হল ফার্স্ট বয়, সেটাই তো দেখার। ক্লাসের ফার্স্ট বয় থেকেও যে এ এক বড় শীর্ষ স্থান। যারা শীর্ষে থাকবে আগামী ৫ বছর তাঁদের হাতেই থাকবে ভারত। ফলে শীর্ষস্থান কে দখল করবে তাঁর উত্তরের জন্য সকলের চোখ তো থাকবে টিভি থেকে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়া বা ডিজিট্যাল প্ল্যাটফর্মে। 


ভোটের ফল ঘোষনার পর সরকার গঠন। প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে কে বসবে তার উত্তর খোঁজ চলবে তবে নির্বাচনী ফল ঘোষনার পর আতঙ্ক একটা থেকেই যায় জণগণের হৃদয়ে। তা হল ভোট পরবর্তী হিংসা। রেকর্ড সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনীর মোতায়েনে হল ভোট। কিন্তু ফল ঘোষনার পর বাহিনী চলে গেলে কি হবে? এই আতঙ্কে ভুগছে হয়তো অনেকেই। যদিও নির্বাচন কমিশন ফল ঘোষনার পরেও একাধিক জায়গায় বাহিনী আরও কিছুদিন রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু তাতে কি রেহাই হবে, এই প্রশ্ন তো থাকছেই।