বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের মীমাংসায় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় পুরুষশূন্য গ্রাম



বীরভূমের মল্লারপুর:-

পুলিশের উপর হামলার ঘটনার পর থেকে পুরুষ শূণ্য বীরভূমের মল্লারপুর থানার পাথায় গ্রাম। শুক্রবার দুপুর ১ টা নাগাদ সেই গ্রাম সরেজমিনে পরিদর্শন করলেন রাজ্য বিজেপির একটি প্রতিনিধি দল। বিজেপির রাজ্যের সহ সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডলের নেতৃত্বে প্রায় দশ জনের একটি প্রতিনিধি দল পাথাই গ্রামে পৌঁছান। গ্রামের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ঘটনার দিনের খোঁজখবর নেন তারা। বিজেপির প্রতিনিধি দলের প্রধান শ্যামাপদ মণ্ডলের দাবী পুলিশের অপরিকল্পিত ভূমিকা ও ব্যর্থতার কারণেই ঘটনার দিন গ্রামবাসীরা পুলিশের হাতে আক্রান্ত হন। পাল্টা আক্রান্ত হতে হয়েছে পুলিশকেও। তার অভিযোগ, ঘটনার ১৫ দিন পরেও গ্রামের মানুষ আতঙ্কিত। গ্রামছাড়া হয়ে রয়েছেন পুরুষেরা। বহু নিরাপরাধ মানুষকে মিথ্যে মামলা দিয়ে গ্রেফতার করে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।

গত ১৬ মে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে অশান্তির মীমাংসা করতে পাথায় গ্রামে যায় মল্লারপুর থানার পুলিশ। সেই সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে গ্রামবাসীদের একাংশের। সংঘর্ষে তিন পুলিশ আধিকারিক সহ প্রায় আটজন পুলিশ কর্মী জখম হন। পুলিশের পাশাপাশি জখম হন আটজন গ্রামবাসীও। তার পরই গ্রামে ধরপাকড় শুরু করে পুলিশ। ঘটনায় যুক্ত সন্দেহে এখনও পর্যন্ত ২১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা জেল হেফাজতে রয়েছে। আজ রাজ্য বিজেপির প্রতিনিধি দল পাথায় গ্রামে পৌঁছালে পুলিশি অত্যাচারের কথা তাদের কাছে জানান গ্রামের বাসিন্দারা। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, নির্দোষীদের বাড়িতে ভাংচুর চালিয়ে মারধর করেছে পুলিশ। পুলিশের আতঙ্কে ঘটনার ১৫ দিন পরও গ্রামছাড়া হয়ে রয়েছেন পুরুষেরা। গ্রাম পুরুষহীন থাকায় কার্যত আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন পাথাই গ্রামের মহিলারা।

বিজেপির দাবী, তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থকেরা বাড়ীতে রয়েছেন। অথচ বেছে বেছে বিজেপির সমর্থকদের গ্রামে ঢুকতে দিচ্ছে না পুলিশ। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের নির্দেশ মতো পুলিশ গ্রামে অত্যাচার চালাচ্ছে। বিষয়টি জানিয়ে পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের দ্বারস্থ হওয়ার কথা জানিয়েছেন তারা।