ভর্তি বন্ধ একাদশে ! ভাইরাল নোটিস
এমনিতেই রাজ্যে বিভিন্ন শিক্ষা কেন্দ্রে শিক্ষকের অভাব তার উপর কলকাতা উচ্চ আদালতের রায়ে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মী চাকরীহারা। এমতাবস্থায় স্যোসাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে রাজ্যের এক বিদ্যালয়ের নোটিস।
ভাইরাল সেই নোটিসটি বীরভূমের মুরারই ২ নম্বর ব্লকের জাজিগ্রাম সর্বদয় আশ্রম হাইস্কুলের । গত ১৫ মার্চ বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জারি করা সেই নোটিসে জানানো হয়- "এতদ্বারা বিদ্যালয় পরিচালন সমিতির মাননীয় সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মহাশয়ের পক্ষ হইতে বিদ্যালয়ের সকল ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবকবৃন্দ ও এলাকার শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিগণের উদ্দেশ্যে জানানো যাইতেছে যে, মাননীয় ডেপুটি সেক্রেটারি / Deputy Secretary, (West Bengal Council Of Higher Secondary Education, BRO) মহাশয়ের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে বিদ্যালয় পরিচালন সমিতির সিদ্ধান্ত ক্রমে শিক্ষক-শিক্ষিকার অপ্রতুলতার কারণে বর্তমান শিক্ষাবর্ষ অর্থাৎ 2024-2025 হইতে বিদ্যালয়ে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি প্রক্রিয়া স্থগিত রাখা হইল।"
সংবাদে প্রকাশ এই নোটিসের পর ২২ এপ্রিল কলকাতা উচ্চ আদালতের রায়ে চাকরিচ্যুত হন এই বিদ্যালয়ের ৩ জন শিক্ষক। এমনিতেই শিক্ষকের অভাবে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি প্রক্রিয়া বন্ধের নোটিস জারি করা হয় তার উপর আরও ৩ জন শিক্ষক চাকরিহারা হওয়ায় সমস্যা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।
জানাগেছে বীরভূমের মুরারই ২ নম্বর ব্লকের জাজিগ্রাম সর্বদয় আশ্রম হাইস্কুলে মোট শিক্ষক সংখ্যা ছিল ১০ জন। দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রছাত্রী সংখ্যা প্রায় আড়াই হাজার। বর্তমানে মাত্র ৭ জন শিক্ষক নিয়ে কীভাবে চলবে একটি উচ্চমাধ্যমিক স্তরের বিদ্যালয় তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
অভিভাবকদের বক্তব্য- “কাছাকাছি স্কুল বলতে মিত্রপুর, পাইকর কিংবা নন্দীগ্রাম। গ্রামের ছেলেমেয়েদের ওই সব স্কুলে যেতে সময় যেমন লাগবে তেমনি অর্থ ব্যয় হবে। সেই অর্থ ব্যয় করার মতো সামর্থ্য অনেকের নেই। ফলে ছেলেমেয়েদের মাঝ পথে পড়াশোনায় ইতি টানতে হবে। আমরা চাই সরকার এর বিহিত করুক”।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊