অস্থায়ী শিক্ষক নিয়োগে মানা, স্কুলে পাঠদানে কলেজ অধ্যাপকেরাও
দীর্ঘদিন থেকে রাজ্যে নেই কোন শিক্ষক নিয়োগ , ফলে শিক্ষক সঙ্কটে ভুগছে রাজ্যের স্কুলগুলি। আর শিক্ষক সঙ্কট মেটাতে বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে অনেকক্ষেত্রেই অস্থায়ী শিক্ষক নিয়োগের খবর সামনে আসতো। আরও একবার এই অস্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ বন্ধে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের কাছে নির্দেশ এসেছে রাজ্য স্কুল শিক্ষা দপ্তর।
তবে সেই সাথে আরও এক বিশেষ খবর সামনে এসেছে। এবার বিদ্যালয়গুলিতে অস্থায়ী শিক্ষক নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও শিক্ষক শূন্যতা মেটাতে এবার এগিয়ে আসতে চলেছে কলেজ অধ্যাপকরা।
জানাগেছে বিদ্যালয়গুলিতে বিষয় ভিত্তিক শিক্ষকের ঘাটতি মেটাতে বিদ্যালয়ে ক্লাস নেবেন কলেজের অধ্যাপকরাও। এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।
একদিকে ‘ক্লাস্টার মডেল’-এ একই এলাকার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা শুধু নিজের বিদ্যালয়ে নয় পার্শ্ববর্তি বিদ্যালয়েও যেমন পড়াতে যাবেন, তেমনি যেখানে 'ক্লাস্টার মডেলে' ক্লাস নেওয়া সম্ভব হবে না সেখানে স্থানিয় কলেজের অধ্যাপকেরাও বিদ্যালয়ে গিয়ে পড়াবেন বলে জানাযাচ্ছে।
একদিকে শিক্ষক সঙ্কট অপরদিকে নয়া সেমিস্টার সিস্টেম শিক্ষা পদ্ধতি, এই দুই সমস্যা সমাধানে চলতি শিক্ষা বর্ষ থেকেই এই নয়া পদ্ধতি চালু করতে যাচ্ছে শিক্ষা সংসদ, এমন খবর সামনে এসেছে।
এই বিষয়ে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, “ছাত্র এবং উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার স্বার্থে ‘ক্লাস্টার মডেলে’ উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। যে সমস্ত স্কুলের বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকের ঘাটতি রয়েছে, তারা আশপাশের স্কুল বা কলেজ থেকে শিক্ষক নিতে পারেন। তবে স্থায়ী শিক্ষক হতে হবে।”
উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষকের ঘাটতি রয়েছে, বিশেষত বিজ্ঞান বিষয়গুলির পড়ানোর ক্ষেত্রে শিক্ষকের ব্যাপক অভাব। এই অবস্থায় কলেজের শিক্ষকরা যাতে স্কুলে এসে পড়াতে পারেন তাই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানাগেছে।
প্রসঙ্গত, কলেজের অধ্যাপকরা এসে পড়ানোকে ভার্টিক্যাল এবং আশপাশের স্কুল শিক্ষকরা এসে পড়ান যেটাকে হরাইজন্টাল পদ্ধতি বলে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফ থেকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল শিক্ষা দফতরের কাছে। অন্যদিকে, শিক্ষা দফতরের অনুমতি ছাড়া স্কুলে অস্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ করা যাবে না বলে আবারো জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊