জলপাইগুড়ি মহিলাদের সান্দাকফু অভিযান

Sandakphu Campaign



প্রাপ্তি রায়, দেবর্ষিকা লালা, সংযুক্তা বনিক, ত্রম্বিকা দেব, বিশাখা শর্মা, রাগেশ্রী বৈষ্য, লাবনী মন্ডল - এগুলো কেবলমাত্র কিছু মহিলার নাম মাত্রই নয়, এরা সকলেই গতানুগতিক জীবনের বাইরে গিয়ে প্রকৃতি এবং এডভেঞ্চার কে ভালোবেসে নিজের মানসিক এবং শারীরিক সক্ষমতাকে যাচাই করতে সম্প্রতি পাড়ি দিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের সর্বোচ্চ স্থান সান্দাকফুর লক্ষে। পিঠে কমবেশী বারো থেকে পনেরো কেজি ওজনের রুক স্যাক এবং পুরো পথটাই চার দিন ধরে পায়ে হেঁটে তারা সফল ভাবে ট্রেকটি সম্পন্ন করে ফিরে এসেছেন জলপাইগুড়িতে।


20ই এপ্রিল দার্জিলিংর প্রায় ছয় হাজার ফুট উচ্চতায় অবস্থিত মানেভঞ্জং থেকে হাঁটা শুরু করেন তারা। তুমলিং, কালপোখরী হয়ে গত 23শে এপ্রিল তারা পৌঁছে যান বারো হাজার ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট পশ্চিমবঙ্গের সর্বোচ্চ স্থান সান্দাকফু তে। 24শে এপ্রিল তারা নেমে আসে শ্রীখোলাতে। এখানেই হাঁটার পর্ব শেষ হয় তাঁদের। হিমালয়ের বিভিন্ন নামি অনামী শৃঙ্গের পাশাপাশি সিঙ্গলিলা জাতীয় উদ্দানের অসাধারণ রোডোডেনড্রন ফুলের সৌন্দর্য তাদেরকে মোহিত করে। এই ট্রেকে সর্বমোট প্রায় 50 কিলোমিটার পথ তারা পায়ে হেঁটে অতিক্রম করেন।


নেচার এন্ড ট্রেকার্স ক্লাব অফ জলপাইগুড়ি আয়োজিত এই ট্রেকিং-এ এই সাত মহিলা ছাড়াও ফুন্টশোক নামগিয়াল শেরপা এবং বিশিষ্ট পর্বতারোহী ভাস্কর দাস দলের সঙ্গে যোগ দেন।


দলের মেন্টর পর্বতারোহী ভাস্কর দাস জানিয়েছেন, "মহিলা তথা মেয়েদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়াতেই এই ট্রেকিং এর আয়োজন। এই মেয়েরা এর আগে এনটিসিজে আয়োজিত এডভেঞ্চার ক্যাম্প সফল ভাবে সম্পন্ন করেছেন। এই ট্রেকিং-এ এদের পারফর্মেন্স খুবই প্রশংশনীয়। এই ট্রেকিং-এ এদের শারীরিক এবং মানসিক সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এর পর এদের দার্জিলিং এর এইচএমআই তে পর্বতারোহনের প্রশিক্ষনে পাঠানো হবে।"