World Health Day 2024: আজ বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস, বর্তমান ইঁদুর দৌড়ের যুগে কীভাবে সুস্থ থাকবেন, জেনেনিন 

World Health Day 2024



2024 সাল WHO এর 76 তম বার্ষিকী উদযাপনের অংশ হিসাবে WHO বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস 2024 (World Health Day 2024) এর থিম হিসাবে 'আমার স্বাস্থ্য, আমার অধিকার' বেছে নিয়েছে যা মৌলিক মানবাধিকারের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস (WHD) 1948 সালে WHO প্রতিষ্ঠার বার্ষিকী উপলক্ষে প্রতি বছর 7 এপ্রিল পালিত হয়। প্রতি বছর, বিশ্বে জনস্বাস্থ্য উদ্বেগের অগ্রাধিকারের ক্ষেত্র তুলে ধরার জন্য একটি থিম নির্বাচন করা হয়।


এই বছরের থিম (World Health Day 2024), আমার স্বাস্থ্য, আমার অধিকার, মৌলিক মানবাধিকার হিসাবে মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা এবং তথ্যের অধিকারকে তুলে ধরে।


বর্তমানে ব্যস্ত জীবন, আধুনিক জীবনযাপন, মোবাইলের অতিরিক্ত ব্যবহার ও কাজের চাপ তরুণদের নানা রোগের কারণ হচ্ছে। এর মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ, অনিদ্রা, বিরক্তি, ডায়াবেটিস এবং নীরব হার্ট অ্যাটাকের মতো রোগও রয়েছে। এই সমস্যাগুলির সাথে লড়াই করা যুবকরা চিকিত্সা এবং পরামর্শের জন্য প্রতিদিন ডাক্তার এবং মনোবিজ্ঞানীদের কাছে যাচ্ছেন।


সকালে দেরী করে ঘুম থেকে ওঠা, তাড়াহুড়ো করে অফিসের জন্য তৈরি হওয়া, দ্রুত ব্রেকফাস্ট সেরে ফেলা এবং তারপর সারাদিন অফিসে থাকার পর সন্ধ্যায় রাতের খাবারেও পুষ্টিকর কিছু না খাওয়া, গভীর রাত পর্যন্ত মোবাইল দেখা, তারপর ঘুম থেকে ওঠা। সকালে দেরী করে উঠা, এমন ব্যস্ত জীবনে নিজেদের জন্য সময় বের করতে না পারা, শারীরিক ব্যায়াম বা যোগব্যায়াম করতে না পারার কারণে যুবকদের শরীরে নানা রোগ বাসা বাঁধছে।


মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, মানসিক চাপ ও অতিরিক্ত ক্লান্তির কারণে রাতে একাধিকবার ঘুম না হওয়া বা না হওয়াটা সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। অথচ সুস্বাস্থ্যের জন্য রাতে ৭-৮ ঘণ্টা ভালো ঘুম প্রয়োজন। এটি শরীরকে রিচার্জ করার সুযোগ দেয়।


অনিদ্রার কারণে যেসব রোগ হয় তার মধ্যে রয়েছে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, স্থূলতা, মানসিক চাপ। নিদ্রাহীনতার শিকার হচ্ছে তরুণরা। ঘুমের অভাব মস্তিষ্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। ত্বকের উজ্জ্বলতা কমে যায়। চোখের নিচে কালো দাগ, শুষ্ক ত্বক এবং মুখে সূক্ষ্ম রেখা থাকতে পারে। তাদের মধ্যে বিরক্তিও বাড়ে। ক্ষুধা না লাগার সমস্যাও হতে পারে।


প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা

- আপনার জীবনধারা নিয়মিত করুন।

- শুধুমাত্র প্রয়োজন অনুযায়ী মোবাইল ইত্যাদি ব্যবহার করুন।

- খেলাধুলা এবং বাইরের দিকে মনোযোগ দিন।

- ঘুম থেকে ওঠার সময় নির্ধারণ করুন।

- পরিবারের সাথে সময় কাটান ।

- অস্বস্তি বোধ করলে একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।