Jammu and Kashmir Landslide: লাগাতার ভূমিধসের জেরে ভূস্বর্গ এখন ধ্বংসপুরী

Jammu and Kashmir Landslide



লাগাতার ভূমিধসের জেরে ভূস্বর্গ এখন ধ্বংসপুরী (Jammu and Kashmir Landslide)। কাশ্মীরের রামবান জেলার পেরনোট এলাকার একাংশ ভেঙে পড়েছে। ভূমিধসের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার বহু বাড়ি, গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। উপড়ে গয়েছে বিদ্যুতের খুঁটি। বিচ্ছিন্ন হয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ, যোগাযোগ ব্যবস্থা। বিপন্ন রোজকার জীবন।

ভারী বৃষ্টির পর গতকাল শনিবার তৃতীয় দিনের মতো পেরনোটে ভূমিধস অব্যাহত রয়েছে। ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সাময়িকভাবে কমিউনিটি সেন্টার রামবান, আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীদের বাড়িতে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তবে ত্রাণ শিবির এবং জেলা বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ রামবান ক্যাম্প অফিস, পেরনোট থেকে ত্রাণ ও উদ্ধার অভিযান চলছে।

ডিসি জেলা প্রশাসক বাসির-উল-হক চৌধুরী বলেন, ভূমি তলিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে প্রায় 100 পরিবারকে তাদের গবাদি পশুসহ নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও, পরিবারগুলিকে পেরনোট পঞ্চায়েত থেকে পরিচালিত ত্রাণ ও সহায়তা পরিষেবাগুলির সাথে কমিউনিটি হল মৈত্রে (রামবান) স্থানান্তরিত করা হয়েছে। প্রশাসন সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে এবং প্রতিটি পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে।

তিনি জানান, অস্থায়ী ত্রাণ শিবির ও কমিউনিটি কিচেন স্থাপন করা হয়েছে। শনিবার বিভাগীয় কমিশনার জম্মু কর্তৃক প্রেরিত ভূতাত্ত্বিকদের একটি দল পরিস্থিতির পর্যালোচনা করেছে এবং একটি জরিপ পরিচালনা করেছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা থেকে মাটির নমুনাও সংগ্রহ করেছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও নিরূপণ করা হচ্ছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রথম অগ্রাধিকার হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে নিরাপদ স্থানে স্থানান্তর করা, তাঁবু স্থাপন করা এবং চিকিৎসা ও অন্যান্য সুবিধা প্রদান করা। আর আমাদের তৃতীয় অগ্রাধিকার হচ্ছে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করা।

ডিসি ও জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা চেয়ারম্যান বাসির-উল-হক চৌধুরীর নেতৃত্বে প্রশাসনিক দল পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। উল্লেখ্য, রামবান-গুল সড়কে ভূমি ধসের কারণে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া ৩৩ কেভিএ রিসিভিং স্টেশন, তিন থেকে চারটি এইচটিসহ অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে। রামবানের পারনোট এলাকায় ক্রমাগত ভূমি ধসের কারণে টাওয়ার এবং পাঁচ ডজন বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কোথাও কোথাও ২০ থেকে ৩০ মিটার নিচে নেমে যাওয়ায় সব কৃষিকাজ ব্যাহত হচ্ছে।

ডিসির মতে, ত্রাণ ও উদ্ধার কাজে NDRF, SDRF, পুলিশ, সিভিল QRT, মেডিকেল এবং অন্যান্য সামাজিক সংগঠনের দল মোতায়েন করা হয়েছে। নোডাল অফিসার ক্যাম্প (বিডিও রামবান) ইয়াসির ওয়ানির তত্ত্বাবধানে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপন করা হয়েছে।