বড় ধাক্কা রাজনৈতিক দলগুলির, নির্বাচনী বন্ড অসাংবিধানিক, বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা শীর্ষ আদালতের
একটি যুগান্তকারী রায়, সুপ্রিম কোর্ট বৃহস্পতিবার রাজনৈতিক তহবিলের জন্য নির্বাচনী বন্ড প্রকল্পটিকে "অসাংবিধানিক" বলে অভিহিত করে এবং এটি নাগরিকদের তথ্যের অধিকার লঙ্ঘন করে বলে অভিহিত করেছে। শীর্ষ আদালত বলেছে, "নির্বাচনী বন্ড নাগরিকদের বাক ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার অধিকার তথ্যের অধিকার লঙ্ঘন করে ভারতের সংবিধান দ্বারা নিশ্চিত করা হয়েছে।" শীর্ষ আদালত বলেছে যে এটি কেন্দ্রীয় সরকারের নির্বাচনী বন্ড প্রকল্পের আইনি বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে এমন একটি আবেদনের ভিত্তিতে সর্বসম্মত রায় দিয়েছে যা রাজনৈতিক দলগুলিতে বেনামী তহবিল দেওয়ার অনুমতি দেয়।
প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ জানিয়েছে, 'নির্বাচনী বন্ডের (Electoral Bond) মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলির তহবিল সংগ্রহ অসাংবিধানিক'। 'কে অনুদান দিচ্ছে, তাঁর নাম প্রকাশ করা আবশ্যক', নাম প্রকাশ না করা তথ্যের অধিকার আইনের পরিপন্থী, বলল সুপ্রিম কোর্ট। এসবিআইকে নির্বাচনী বণ্ড বিক্রি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। কালো টাকা রোধ করা এবং দাতাদের বেনামী নিশ্চিত করা নির্বাচনী বন্ড রক্ষার ভিত্তি হতে পারে না বলেও জানিয়েছে আদালত।
সামনে লোকসভা নির্বাচন আর তার আদালতের এই পর্যবেক্ষনে বড় ধাক্কা খেল বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলি। প্রসঙ্গত, বিধানসভা নির্বাচনের আগে নির্বাচনী বণ্ড নিয়ে তৃণমূলকে নিশানা করেছিল বিজেপি। শুভেন্দু অধিকারী তোপ দেগে বলেছিলেন, '২০২২ সালে নির্বাচনী বন্ডে ৫৩৮ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে তৃণমূল। দেশের মধ্যে দ্বিতীয় রাজনৈতিক দল হিসেবে এক বছরে এত টাকা সংগ্রহ করেছে তৃণমূল। কারা কারা নির্বাচনী বন্ডে টাকা দিয়েছেন, তালিকা প্রকাশ করুক তৃণমূল। গোয়ার ভোটে তৃণমূল খরচ করেছিল ৪৭ কোটি টাকা। ত্রিপুরা, মেঘালয়ে কত টাকা খরচ হয়েছে শীঘ্রই প্রকাশ্যে আসবে। এই টাকা কারা দিয়েছে? নাম বলুক তৃণমূল'। পাল্টা দিয়েছিলেন কুনাল ঘোষও। তাঁর কথায়, 'বিজেপি তো নির্বাচনী বন্ডে অর্থ সংগ্রহর তালিকায় প্রথম। নিজের দলকে তালিকা প্রকাশ করতে বলুন শুভেন্দু'।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊