রীতি মেনে সরস্বতী পুজোর পরের দিন তত্ত্ব দেওয়া-নেওয়ায় মাতল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা

Saraswati Puja


সঞ্জিত কুড়ি পূর্ব বর্ধমান :-

রীতি মেনে সরস্বতী পুজোর পরের দিন তত্ত্ব দেওয়া-নেওয়ায় মাতল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা।বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু পুরনো রীতি সরস্বতী পুজোর পরের দিন ছাত্র-ছাত্রীরা পরস্পরকে তত্ত্ব তুলে দেবে। অন্যান্য বছরের মতো এবছরও একি চিত্র দেখা গেলো বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলাপবাগ এলাকায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের এই দৃশ্য দেখে উপভোগ করছে পথচলতি সাধারণ মানুষ জন।বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের হস্টেলে হস্টেলে বৃহস্পতিবার তত্ত্ব বিনিময়’ হয়। এমনিতে সরস্বতী পুজোকে বাঙালির অঘোষিত প্রেম দিবস‌ বলা হয়। আর এরই মধ্যে সরস্বতী পুজোর পরের দিন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের গার্লস ও বয়েজ হস্টেলের মধ্যে ‘তত্ত্ব আদানপ্রদান’-এর মাধ্যে হয় এক অন্যরকম ভালোবাসার উদযাপন। আর সেই রীতির হাত ধরেই এই মাঘে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে নেমে এল অকাল বসন্ত।



সরস্বতী পুজোর পরের দিন একেবারে ঢাকঢোল পিটিয়ে বর-কনের বাড়ির মতোই ছাত্রী আবাস থেকে ছাত্রাবাস এবং ছাত্রাবাস থেকে ছাত্রীবাসে নিয়ে যাওয়া হয় উপহারের ডালি। তত্ত্বের ডালি আদান প্রদানের মধ্যে দিয়ে দিনভর হৈ-হুল্লোড়ে মেতে ওঠে গোটা ক্যাম্পাস।



আবাসিক পড়ুয়ারা তত্ত্বের ডালি সাজিয়ে, বাজনা বাজিয়ে একে অপরের সঙ্গে সৌহার্দ্য বিনিময় করেন। গার্গী, নিবেদিতা, সরোজিনী, মিরাবাঈয়ের আবাসিক ছাত্রীরা বিয়ের মত গায়ের হলুদের সাজে তত্ত্বের ডালা সাজিয়ে রঙের বেরঙের শাড়ি পরে তারা অরবিন্দ, নেতাজি, চিত্তরঞ্জন, বিবেকানন্দ, রবীন্দ্র ছাত্রাবাসে হাজির হয়। ছাত্রাবাসের পড়ুয়ারা ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানায় তাদের। একইভাবে ছাত্রাবাসের ছাত্ররা নতুন জামা-কাপড় পরে উপহারের ডালি সাজিয়ে বাজনা বাজিয়ে উপস্থিত হয় ছাত্রীদের হোস্টেলে।