Indian Visa to Shoaib Bashir: অবশেষে ভারতে আসার ভিসা পেলেন ইংল্যান্ডের অফ স্পিনার শোয়েব বশির
Indian Visa to Shoaib Bashir: দেরিতে হলেও ২০ বছর বয়সী ইংল্যান্ডের অফ স্পিনার শোয়েব বশির ভারতের ভিসা পেয়েছেন। ভিসা বিলম্বের কারণে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের সঙ্গে ভারতে আসতে পারেননি তিনি। যাইহোক, এই পুরো বিতর্কটি ইংল্যান্ড দল এবং তার বোর্ডের কর্মের ফলাফল।
বুধবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। ভিসা বিলম্বের কারণে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের সঙ্গে ভারতে আসতে পারেননি তিনি। বিশাখাপত্তনমে ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে তার টেস্ট অভিষেক হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে এমন ঘটনা এবারই প্রথম নয়।
পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত অফ-স্পিনার শোয়েব বশির 25 জানুয়ারী থেকে ভারতের বিরুদ্ধে 5 ম্যাচের টেস্ট সিরিজে খেলার জন্য বুধবার ভারতের ভিসা পেয়েছিলেন। এতে শুধু বশিরের নয়, ভারত সফরকারী ইংল্যান্ড দলেরও হতাশাজনক অপেক্ষার অবসান ঘটে। ইংল্যান্ড দলের অধিনায়ক বেন স্টোকস এই বিলম্বকে হতাশাজনক বলে বর্ণনা করেছেন। আরও বলেন, এ ধরনের পরিস্থিতি খুবই খারাপ।
ভারত-ইংল্যান্ডের মধ্যে টেস্ট সিরিজ শুরুর আগেই বশিরের ভিসা পেতে দেরি করা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। ২০ বছর বয়সী এই অফ স্পিনার ইংল্যান্ড কাউন্টি দল সমারসেটের প্রতিনিধিত্ব করেন। আবুধাবিতে দলের সঙ্গে থাকলেও ভিসার অভাবে ভারতে আসতে পারেননি তিনি। এ কারণে তাকে লন্ডনে ফিরতে হয়েছে। এবার তিনি ভারতে আসবেন। মজার ব্যাপার হল, শুধু ইংল্যান্ড টেস্ট দলের অধিনায়ক বেন স্টোকসই বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেননি, ব্রিটিশ সরকারও হস্তক্ষেপ করেছে।
এখন পর্যন্ত মাত্র ৬টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলা বশিরকে টেস্ট দলে বাছাই করাটা ছিল সবার জন্য বিস্ময়কর। ব্রিটিশ সরকারের একজন মুখপাত্র ক্রিকইনফোকে বলেছেন যে পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত নাগরিকের ভারতীয় ভিসা পেতে দেরি হওয়ার ঘটনা এই প্রথম নয়। তিনি বলেন, 'ভারত সরকার এবং শোয়েব বশির এই বিষয়ে বিস্তারিত অবগত, তবে আমরা চাই ভারত ভিসা প্রক্রিয়ায় ব্রিটিশ নাগরিকদের সঙ্গে ন্যায্য আচরণ করুক। পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিকদের ব্যাপারে আমরা ইতিমধ্যেই লন্ডনে ভারতীয় হাইকমিশনের কাছে বিষয়টি তুলে ধরেছি।
টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, 'এটা বিশ্বাস করা হয় যে বশিরের ভিসা অনুমোদিত হয়েছিল, তবে তার পাসপোর্টে ব্রিটেনে ভারতীয় হাইকমিশনের স্ট্যাম্প প্রয়োজন ছিল।'
ভারত সরকার বা বিদেশ মন্ত্রক এখনও এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তার পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত হওয়ায় ভিসা পেতে বিলম্ব হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আসলে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক সৌহার্দ্যপূর্ণ নয়। যদিও ভারত সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি আসেনি।
পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ক্রিকেটারের ভিসা পেতে বিলম্বের ঘটনা এটাই প্রথম নয়। গত বছর অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার উসমান খাজাকেও টেস্ট সিরিজে দলের সঙ্গে আসতে না পেরে এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়েছিল। পরে তিনি ভারতে পৌঁছান। পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত সাকিব মাহমুদও 2019 সালে ভারত এর বিপক্ষে সিরিজে আসতে পারেননি।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊