লক্ষাধিক টাকা আত্মসাৎ কাঠগড়ায় সিএসপি মহিলা অপারেটার এবং তার স্বামী

People


গ্রামপঞ্চায়েতের টাকা গায়েবের পর আবারও বীরভূম জেলার লাভপুরে লক্ষ লক্ষ টাকা গায়েবের অভিযোগ উঠলো সিএসপি অপারেটরের বিরুদ্ধে । ভারতীয় স্টেট ব্যাংকের ষষ্টীনগর শাখার অন্তর্ভুক্ত এক সিএসপি অপারেটর ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে লক্ষ লক্ষ টাকা তছরুপের অভিযোগ উঠছে । এমনকি অভিযোগ জানিয়ে লাভপুর থানাতে এফআইআর দায়েরও হয়েছে ২০২৩ সালের সাতেরো নভেম্বর । 



লাভপুর ব্লকের মানিকপুরের মাধবী মন্ডল নামে এক মহিলা অভিযোগ জানিয়েছেন ২০২৩ সালের আট জুন তার এবং তার পরিবারের অন্য দুই সদস্যের মোট চার লক্ষ আশি হাজার টাকা প্রতারণা করেছে ওই সিএসপি অপারেটর যার ফলে কার্যত নিঃস্ব ঐ পরিবারটি । মাধবী মন্ডল ও তার পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, ৭০০০ টাকা করে সুদ দেওয়া‌ হবে প্রতি মাসে - এই প্রলোভন দিয়ে তাদের কাছে নেওয়া হয় টাকা । কয়েকদিন পর নথি চাইলে ব্যাংকে জমা দেওয়ার রশিদ দেয় অভিযুক্তরা কিন্তু ব্যাংকের শাখায় গিয়ে দেখা যায় তাদের নামে কোন টাকাই জমা পড়ে নি । 



শুধু এখানেই নয় প্রতিমা মৈত্র নামে এক মহিলা সরাসরি নবান্নের গ্রিভেন্স সেলে অভিযোগ করেছেন ওই সিএসপি অপারেটর ও তার স্বামীর নামেই । এক্ষেত্রে অভিযোগ উঠছে প্রতিমা মৈত্রের পঁচিশ হাজারের পাশাপাশি শ-দুয়েক সাধারণ মানুষের এক লাখ-দু লাখ নয়,তছরুপ হয়েছে ৫০ লক্ষেরও বেশি টাকা । অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ফিক্সড ডিপোজিট করে দেওয়ার নাম করে টাকা হাতিয়েছে ওই সিএসপি অপারেটর ও তার স্বামী । তবে ঐ সিএসপি অপারেটরের শ্বশুরবাড়ি লাভপুর ব্লকের ঠিবা গ্রামে। তার শ্বশুর ও শ্বাশুড়ি এব্যপারে কিছুই জানেন না, এমনকি ছেলে বৌমার সঙ্গে কোন যোগাযোগ নেই বলে জানায় । তারা লাভপুরে থাকতো বলেই দাবি করলেন, একইসঙ্গে দোষী হলে ছেলে বৌমার শান্তি হোক এমনটাই বলছেন সিএসপি অপারেটরের শ্বশুরমশাই ।



ভারতীয় স্টেট ব্যাংকের অন্তর্ভুক্ত সিএসপিগুলোর একটা বড় অংশ পরিচালনা করে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা যাদের প্রধান অফিস মল্লারপুরে তারাও লাভপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে । সংস্থার পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের হয়েছে ২০২৩ সালের আঠাশে ডিসেম্বরের । অভিযোগপত্র সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ভারতীয় স্টেট ব্যাংকের বোলপুর রিজিওনাল বিজনেস অফিসের আরএম-র কাছে তারা বিষয়টি অবগত হয়েছে ছাব্বিশে ডিসেম্বর । 




লাভপুর ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক শিশুতোষ প্রামাণিক বলেন, "এখনো পর্যন্ত সাতজনের অভিযোগ পেয়েছি সেখানে মোট দশ লক্ষ টাকার মতো অভিযোগ এসেছে । উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে, যথোপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে । এহেন ঘটনা এড়াতে সচেতনতামূলক প্রচার চালানো হচ্ছে ।"