পরীক্ষায় শূণ্য দেওয়ার খেসারত ! স্কুলকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদালতের


a group of people sitting in a classroom



গুরুগ্রামের একটি বেসরকারি স্কুলকে নিয়ে কড়া মন্তব্য করল পাঞ্জাব-হরিয়ানা হাইকোর্ট। প্রকৃতপক্ষে, স্কুলটি শিক্ষা বোর্ডের সাইটে একই নামের দুটি মেয়ে শিক্ষার্থীর নম্বর আপলোড করেছিল, যেখানে একটি ছাত্রীকে শূন্য নম্বর দেওয়া হয়েছিল। বিশেষ বিষয় হল ইতিমধ্যে একটি ছাত্রী স্কুল ছেড়ে গেছে।

অনেক সময় এমনও হয় যে আপনি ভালো পড়াশোনা করেছেন কিন্তু পরীক্ষার ঠিক আগে কোনো অসুস্থতা বা পারিবারিক সমস্যার কারণে পেপার ভালো করতে পারেননি। তবে স্কুল নিজেই মার্কিং পদ্ধতিতে অনিয়ম করলে আমরা কী বলব? বিষয়টি হরিয়ানার গুরুগ্রামের একটি স্কুলের ক্ষেত্রে ঘটেছে। আসলে দশম বোর্ড পরীক্ষায় একই নামের দুই শিক্ষার্থীর নম্বরে ভুল করেছে স্কুল। একজন ছাত্রকে শূন্য নম্বর দিয়েছে আর একজনের বদলে।

ভুক্তভোগী ছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা এ বিষয়ে অভিযোগ করলে বিদ্যালয় তার ভুল মানতে রাজি হয়নি। নির্যাতিতা ছাত্রের সব আশা নষ্ট হয়ে গেলে তিনি পাঞ্জাব-হরিয়ানা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। হাইকোর্ট তার রায়ে বলেছে যে স্কুলের ভুল শুধুমাত্র আবেদনকারীর ভবিষ্যতকে প্রভাবিত করেনি, শিক্ষা বোর্ডের জন্যও বিব্রতকর অবস্থার কারণ হয়েছে। এই মন্তব্যের পাশাপাশি, আদালত স্কুলকে 30 হাজার টাকা জরিমানাও করেছে এবং বোর্ডকে তা পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছে।

শিক্ষার্থী তার আবেদনে উল্লেখ করেছিল যে কোভিডের সময় স্কুলটি বন্ধ ছিল। স্কুল নিজেই বোর্ডে অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন নম্বর পাঠিয়েছিল। স্কুলটি বোর্ডের সাইটে একই নামের দুই মেয়ে শিক্ষার্থীর নম্বর আপলোড করেছে। বড় কথা হল অন্য ছাত্রটি এক বছর আগে স্কুল ছেড়েছিল। স্কুলের ভুলের প্রভাবে বোর্ড পুনরায় সংশোধিত ফলাফল প্রকাশ করেনি।

ভুক্তভোগী ছাত্রী জানায়, আদালতের রায়ে তিনি স্বস্তি বোধ করছেন। তিনি যে বড় সমস্যাটির সম্মুখীন হয়েছিলেন তা হল যে শুধুমাত্র তার মার্কসই প্রভাবিত হয়নি বরং পরবর্তী ভর্তির ক্ষেত্রেও তিনি সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। আমি বেশ কয়েকবার স্কুলে অভিযোগ জানিয়েছি। কিন্তু স্কুলের লোকজন তাদের ভুল মানতে রাজি ছিল না। তারা শুধু আমাদের দোষারোপ করত। হতাশা বেড়ে গেলে আদালতে আবেদন করা ছাড়া তার আর কোনো উপায় ছিল না।