School Teachers Promotion Policy: স্কুল শিক্ষকদের পদোন্নতি নিয়ে বড় আপডেট 

School Teachers Promotion Policy



জাতীয় শিক্ষানীতির আদলে রাজ্যের শিক্ষানীতি, এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের মতন বিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরও পদোন্নতির ভাবনা রাজ্যের। বেশ কিছুদিন থেকেই এই পদোন্নতি (School Teachers Promotion Policy) নিয়ে আলোচনা চলছে । এবার এলো বড় আপডেট।


উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য সম্প্রতি জানিয়েছেন-বিশ্ববিদ্যালয়ে যে পদ্ধতিতে শিক্ষকদের পদোন্নতি (School Teachers Promotion Policy) হয়, অনেকটা সেরকম ভাবেই স্কুল শিক্ষকদের পদোন্নতির চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। । কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে যেমন শিক্ষকদের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর, অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর এবং প্রফেসর— এই তিনটি ভাগে পদোন্নতি হয়, স্কুলের শিক্ষকদেরও সে রকম পদোন্নতি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।


কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন শিক্ষকের যেমন ‘অ্যাকাডেমিক পারফর্মেন্স ইন্ডিকেটর’এর (APR) মাধ্যমে পদোন্নতি হয়, স্কুল শিক্ষকদের ক্ষেত্রেও তেমন চিন্তাভাবনা (School Teachers Promotion Policy) করা হচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য।


ইতিমধ্যে এই বিষয় (School Teachers Promotion Policy) নিয়ে ভাবনা চিন্তার জন্য তৈরি হয়েছে ৬ সদস্যের একটি কমিটিও। সূত্রের খবর, খুব শীঘ্রই এই কমিটি তাদের মতামত লিখিত আকারে জমা দিতে চলেছেন। আর তারপরই সিদ্ধান্ত নেবে স্কুল শিক্ষা দপ্তর।


এ দিকে শিক্ষকদের পদোন্নতি (School Teachers Promotion Policy) কী পদ্ধতিতে হতে পারে, তা নিয়ে প্রস্তাব দিয়েছে শিক্ষক সংগঠন বৃহত্তর গ্রাজুয়েট টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন, মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতি এবং অল পোস্ট গ্র্যাজুয়েট টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন সহ একাধিক শিক্ষক সংগঠন। তাদের দাবী যাতে পদোন্নতির ক্ষেত্রে কোন স্বজন পোষণ না হয় সেদিকে বিশেষভাবে নজর দিতে হবে, একই সাথে সিনিয়ারিটির দিকটিকেও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার দাবীও উঠেছে।


এছাড়াও শিক্ষকদের প্রমোশনের (School Teachers Promotion Policy) পাশাপাশি বিদ্যালয় স্তরে শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের প্রতি বিভিন্ন ধরনের যে বঞ্চনা। যেমন প্রাথমিক শিক্ষক, মাধ্যমিক স্তরে গ্রুপ ডি-গ্রুপ সি শিক্ষাকর্মী, লাইব্রেরিয়ান, গ্র্যাজুয়েট শিক্ষক, পোস্ট গ্র্যাজুয়েট শিক্ষক সহ চুক্তিভিত্তিক বেতন কাঠামোহীন নিযুক্ত শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীদের দীর্ঘদিনের বঞ্চনা রয়েছে তা নিরসন করার উদ্যোগ গ্রহণের দাবীও উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে।