বর্ধমানে মিনাক্ষী, জনস্রোত DYFI- এর ইনসাফ যাত্রায়
সঞ্জিত কুড়ি পূর্ব বর্ধমান :-
সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআইয়ের ‘ইনসাফ যাত্রা’ শুরু হয় কোচবিহার থেকে। কোচবিহার থেকে হাঁটতে হাঁটতে বাম যুবকর্মীরা আগামী ৭ জানুয়ারি পৌঁছবেন কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে। সেখানেই হবে কেন্দ্রীয় সমাবেশ। ইনসাফ যাত্রা ২৪ তম দিনে এসে পৌছালো বর্ধমান শহরে। এদিন বাঁকুড়া মোড় থেকে বর্ধমান শহরে প্রবেশ করে এই ইনসাফ যাত্রা।
মূলত, সকলের জন্য কাজের দাবিতে যাত্রা হলেও তাতে ঘুরে ফিরে আসবে রাজ্যের শিল্পায়ন, দুর্নীতির মতো বিষয়ও। হাঁটতে হাঁটতে এই যাত্রা আগামী ৭ জানুয়ারি পৌঁছবে কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে। সেখানে হবে কেন্দ্রীয় সমাবেশ।এই ইনসাফ যাত্রার নেতৃত্ব দেন ডিওয়াইএফ আই এর রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়, সিপিআইএম নেতা আভাস রায়চৌধুরী, ডিওয়াইএফ আইয়ের রাজ্য সভাপতি ধ্রুবজ্যোতি সাহা, সিপিআইএম নেতা অপূর্ব চৌধুরী।
বক্তব্য রাখতে গিয়ে ডিওয়াইএফআই এর রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় বলেন, এক সময় বামপন্থীরা ছিলেন যারা জমিদারদের হাত থেকে জমি কেড়ে নিয়ে মানুষদের হাতে ফিরিয়ে দিতেন। আর এখন আরামবাগে বিডিওকে দাঁড় করিয়ে মানুষের জমি কেড়ে নিয়ে বড়লোকদের হাতে তুলে দিচ্ছে। মানুষ এই তৃণমূলকে পালিশ করে দিচ্ছে। এই তৃণমূলের বদল নয় বদলা চাই। আমরা চাইছি যারা চাল চুরি করেছে সেই সিস্টেমটা বদল হোক, যারা চাকরি চুরি করেছে সেই সিস্টেমটা বদল হোক, যারা আমাদের ভবিষ্যৎ চুরি করছে সেই সিস্টেমটা বদল হোক, আমরা তো চেয়েছিলাম পানাগড়ে একটা সার কারখানা হোক ওরা তো সারের কালোবাজারি করে দিল। আমরা চেয়েছিলাম পশ্চিমবঙ্গে কারখানা হোক ওরা কারখানাগুলোতে ডায়নামাইট মেরে উড়িয়ে দিল। আমরা চাই মানুষ যেন খেয়ে পড়ে বাঁচতে পারে আর ওরা চায় মানুষ যেন হাত পেতে অনুদান ন্যায় ওদের কাছ থেকে। যদি মাথা উঁচু করে অনুদান না নিয়ে বাঁচতে চান তাহলে আমাদের এই লড়াই সংগ্রামে যুক্ত হন। এই লড়াই মেহেনতি মানুষের লড়াই খেটে খাওয়া মানুষের লড়াই।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊