Scam: রেশন বন্টন দুর্নীতির পর সামনে আসতে চলেছে ধান দুর্নীতি
কলকাতা:
ED-র আজ রিমান্ড লেটার আদালতে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, রেশন বন্টন দুর্নীতির পর সামনে আসতে চলেছে ধান দুর্নীতি।
রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে ফের ইডি হেফাজত হয়েছে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের। এদিকে আরও এক দুর্নীতির মামলার দিকে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে ইডি। এবার ধান দুর্নীতি। ধান কেনার নামে তছরুপ হয়েছে সরকারি টাকা। ভুয়ো চাষিদের নামে অ্যাকাউন্ট তৈরি করে তুলে নেওয়া হয়েছে টাকা। এমনটাই অনুমান ইডির। আরও চাপে পড়েছে মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
রেশন দুর্নীতির তদন্ত করতে গিয়েই উঠে এসেছে ধান কেনায় দুর্নীতি কথা। এমনটাই জানিয়েছে ইডি। আজ যখন জ্যেতিপ্রিয়কে আদালতে তোলা হয় তখন ইডি তাঁদের রিমান্ড লেটারে সেই তথ্য দিয়েছে। ধানচাষীদের কাছ থেকে সরকারি দামে ধান কেনে কো-অপারেটিভ সোসাইটিগুলি। ধানের দাম সরাসরি চাষিদের অ্যাকাউন্টে চলে যাওয়ার কথা। কিন্তু ইডি তদন্ত করে দেখেছে, ধান কেনার ক্ষেত্রে সরকার ও কোঅপারেটিভ সোসাইটিগুলির মধ্যে চলে আসছে কোনও না কোনও এজেন্ট মারফত। মিল মালিকরা ওইসব এজেন্টদের মাধ্যমে সরকারি রেটের থেকে কম দামে ধান কিনে নিত।
ওই ধান কেনার জন্য খাতায় কলমে কারচুপি করা হতো।
প্রসেস কিভাবে হত? জানা যাচ্ছে, ওইসব এজেন্টরা কিছু চাষিদের জোগাড় করতো। তাদের নামে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলতো। সমবায় সমিতির খাতায় ওইসব চাষিদের দেখানো হতো। তাদের নামে ধান কেনা হতো। এভাবে ধান কিনলে মিল মালিকদের প্রতি কুইন্টালে ২০০ টাকা লাভ করত। ওই লাভের টাকায় মিল মালিক ছাড়াও এজেন্ট ও সরকারি আধিকারিকরা এমনকি মন্ত্রীও লাভবান হয়েছে বলে অনুমান ইডির।
এনিয়ে জ্যোতিপ্রিয়কে জিজ্ঞাসবাদ করেছে ইডি। জ্যোতিপ্রিয় ইডিকে জানিয়েছেন, তাঁর আমলে বিষয়টি তাঁর নজরে এসেছিল। তিনি সিআইডিকে দিয়ে তদন্তও করিয়েছিলেন। কিন্তু সেই তদন্তের অগ্রগতি কী তা তিনি বলতে পারেননি। এই তথ্য সামনে আসার পর ইডি আরও একটি মামলা অর্থাৎ ধান দুর্নীতি মামলা করতে চলেছে । আজ ইডির তরফে রিমান্ড লেটার দেওয়া হয়েছে ।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊