মাটির প্রদীপের চাহিদা নেই, মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের
ঐশী রায়, শিলিগুড়ি, ৮ই নভেম্বর ২০২৩ঃ
কথায় আছে, "বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ"। কিছুদিন আগেই বাঙালির সবথেকে বড়ো উৎসব দুর্গাপুজো শেষ হল। এবার আলোর উৎসবেরও আর বেশি দেরি নেই। হাতে গোনা মাত্র কয়েকদিন বাকি তারপরেই আলোর উৎসব দীপাবলি, শ্যামা পুজোর আনন্দে মেতে উঠবে দেশবাসী। তবে তার আগে রয়েছে ভূত চতুর্দশী যেদিন প্রতিটি ঘরে পূর্বপুরুষদের উদ্যেশ্যে জ্বালানো হয় ১৪টি মাটির প্রদীপ।
তবে বর্তমানে শিলিগুড়িতে মাটির প্রদীপের চাহিদা ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে, অথচ আজ থেকে দশ বছর আগেও মাটির প্রদীপের চাহিদা ছিল প্রচুর। কালীপুজোর সময় মাটির প্রদীপের চাহিদা আরো বেড়ে যেত। শিলিগুড়ির মৃৎশিল্পীদের ব্যস্ততা থাকতো তুঙ্গে। মাটির প্রদীপ কেনার জন্য রীতিমতো লাইন পড়ে যেত দোকানগুলিতে। তবে এখন যুগ বদলেছে, মাটির প্রদীপের সেই চাহিদা আর নেই, বদলে জায়গা করে নিয়েছে রঙবেরঙের এলইডি লাইট, টুনি বাল্ব। কাজেই মাটির প্রদীপ ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত।
তবুও ভালো বিক্রির আশায় বসে থাকেন শিলিগুড়ির মাটির প্রদীপ ব্যবসায়ীরা। প্রতি বছরের মতোই এবছরও শিলিগুড়ির বিধান মার্কেট, হকার্স কর্ণার, মহাবীরস্থান সহ বিভিন্ন বাজার গুলিতে ব্যবসায়ীদের মাটির প্রদীপ বিক্রি করতে দেখা যাচ্ছে।
এই বিষয়ে এক ব্যবসায়ীকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানান, "এখন আর আগের মত চাহিদা নেই প্রদীপের। বিক্রি যতটা হওয়া উচিত সেই অর্থে হচ্ছে না। এছাড়া দোকানের সংখ্যাও অনেক বেড়ে গেছে যার কারণে ও বিক্রিতে ভাটা পড়েছে।" তবুও ব্যবসার তাগিদে পেটের দায়ে রোজগারের তাগিদে মাটির প্রদীপ ব্যবসায়ীরা আশা করছেন কালীপুজোর আগে ভালোই বিক্রি হবে প্রদীপের।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊