বাংলার মুকুটে নয়া পালক, ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তকমা পেল রবি ঠাকুরের শান্তিনিকেতন
বাংলার মুকুটে নয়া পালক। আর এই নয়া পালকে নাম জুড়ে আছে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরেরও। ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তকমা পেল রবি ঠাকুরের শান্তিনিকেতন (World Heritage Santiniketan)। শান্তিনিকেতন ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমা পাওয়া পরেই খুশি বাঙালিরা। আজ ইউনেস্কোর তরফে শান্তিনিকেতনকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ( World Heritage Santiniketan) ঘোষনা করা হয়।
২০২১ সালে ইউনেস্কোর তালিকায় স্থান পায় বাঙালির দুর্গাপুজো (Durgapuja)। স্থান পায় দার্জিলিংয়ের ট্রেন ও সুন্দরবন। তবে সুন্দরবনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এবং টয়ট্রেনের সঙ্গে নীলগিরি পাহাড় ও শিমলার রেলগাড়িও গৌরবের শরিক। আর এবার সেই তকমা পেল এশিয়ার প্রথম নোবেল জয়ী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতন (World Heritage Santiniketan)।
১৯০১ সালে শান্তিনিকেতনে স্কুল শুরু হয় এবং ১৯২১ সালে বিশ্বভারতীর পথ চলা শুরু করে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর, ১৯৫১ সালে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতি পায় বিশ্বভারতী। গোটা জীবনের সব অর্জন, সঞ্চয়ের আধার হিসেবে শান্তিনিকেতনকে ব্যাখ্যা করেছিলেন কবি। শান্তিনিকেতনকে রক্ষা করতে দেশবাসীর আদর ও যত্ন প্রয়োজন বলে মহাত্মা গাঁধীকে পাঠানো চিঠিতে লেখেন কবি।
শান্তিনিকেতনকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তালিকায় রাখার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে এখবর আগেই জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি। এরপর ইউনেস্কোর প্রতিনিধি দল বিশ্বভারতী ঘুরে দেখেন। আর এবার তকমাও মিললো।
সৌদি আরবের রিয়াধে ১০ সেপ্টেম্বর শুরু হয়েছে UNESCO-র ওয়র্ল্ড হেরিটেজ কমিটির বৈঠক শুরু হয়েছে, যা চলবে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। শনিবার সেখানেই শান্তিনিকেতনকে বিশ্ব ঐতিহ্য ক্ষেত্রের তালিকার অন্তর্ভুক্ত করা হল।
রবিবার মাইক্রোব্লগিং সাইট X-এ ঘোষণা করে UNESCO-এর তরফে লেখা হয়, 'UNESCO-র বিশ্ব ঐতিহ্য ক্ষেত্রের তালিকায় নয়া সংযোজন: শান্তিনিকেতন। ভারতকে অভিনন্দন'।
UNESCO-র তরফে মূলত সৌধ বা স্মৃতিস্তম্ভকেই হেরিটেজ তালিকায় থাকে তবে এই প্রথম কোনো সক্রিয় প্রতিষ্ঠান এই স্বীকৃতি পেল।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊