G-20 সামিটে দিনহাটার দুই মহিলা, রাষ্ট্রনেতাদের পত্নীদের চেনালেন মিলেটের খাবার 

G20 dinhata woman


নয় ও দশই সেপ্টেম্বর ভারতের দিল্লিতে বসেছে জি-টোয়েন্টি সামিট (G-20) আর এই জি-টোয়েন্টি সামিটে (G-20) বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের পত্নীদের মিলেটের খাবার চেনালেন দিনহাটার দুই মহিলা।


শনিবার নয়াদিল্লির পুসা কৃষি গবেষণাগার ক্যাম্পাসে কোচবিহারের দিনহাটার সীমান্ত গ্রাম চৌধুরিহাটের দুই মহিলা কৃষক রূপময়ী মোদক ও প্রমীলা মোদক মিলেটের চাল ও বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী তৈরির পদ্ধতি তুলে ধরেন রাষ্ট্রনেতাদের পত্নীদের সামনে।




২০২৩ সাল ‘আন্তর্জাতিক মিলেট বর্ষ’ হিসেবে ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বিশ্বব্যাপী প্রচার ও প্রসারের চেষ্টায় জি২০ সামিটে (G-20) অংশগ্রহণ করতে আমন্ত্রণ করা হয় দিনহাটার এই দুই মহিলাকে।


বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় কৃষি দফতরের অধীনস্থ ‘স্মল ফার্মার্স অ্যাগ্রিবিজ়নেস কনসর্টিয়াম’র আমন্ত্রণে প্রশিক্ষক সৈকত সরকারের সঙ্গে দিল্লীতে যান তারা। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের স্ত্রীদের কৃষি দফতরের পুসা ক্যাম্পাসের প্রদর্শনী কক্ষে মিলেট চাষ সম্পর্কে তুলে ধরেন তারা। জানা যাচ্ছে, পুসা ক্যাম্পাসে প্রদর্শনী কক্ষে পুরনো দিনের কৃষি যন্ত্রপাতির পাশাপাশি, আধুনিক যন্ত্রও প্রদর্শিত হয়েছে।




বিশ্বের দরবারে ভারতের মিলেট ও মিলেট থেকে তৈরি বিভিন্ন খাবার দেখে বিদেশি অতিথিরা ‘অভিভূত’ হন বলে দাবি প্রশিক্ষক সৈকতের। ভারতে মিলেট চাষের সাফল্য তুলে ধরতে এই প্রর্দশনীর ব্যবস্থা করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সফল মিলেট চাষিদের আমন্ত্রণ জানিয়ে এই প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়েছে কৃষি দফতরের তরফে। রূপময়ী এবং প্রমীলা জানান, এত বড় অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পেরে তাঁরা খুব খুশি।




উল্লেখ্য, গত বছর ১০-১২ বিঘা মিলেট চাষ করা হয়েছে সৈকতের উদ্যোগে। মিলেটের খাদ্যগুণ যথেষ্ট এবং মিলেট চাষ করলে জল সংরক্ষণ সম্ভব। উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, কোচবিহার কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র এবং স্থানীয় একটি ক্লাবের সহযোগিতায় এই চাষ হয়েছিল। পরবর্তীতে কয়েক জন কৃষককে ‘আতমা’ প্রকল্পের মাধ্যমেও সহযোগিতা করে কৃষি দফতর।