প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল, ধুপগুড়ির রাজপথে রীতিমতো মারপিট! ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী


Jalpaiguri news



জলপাইগুড়ি, জয়ন্ত বর্মণ


ধূপগুড়ির বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপদ রায়ের অকাল মৃত্যুতে উপনির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়েছে। আর সেই কারণেই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ধূপগুড়ির একটি বেসরকারি ভবনে আসন্ন এই উপনির্বাচন নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে একটি বৈঠক চলছিল। যেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী মহুয়া গোপ সহ অনেকে। সেখানেই দলের দুই জেলা সাধারণ সম্পাদক রাজেশ কুমার সিং এবং অরূপ দের মধ্যে বাদানুবাদ হয়। এমনকি দুই গোষ্ঠীর অনুগামীদের মধ্যে এক প্রস্থ হাতাহাতিও বলে জানা যায়। 



তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সাধারণ সম্পাদক রাজেশ কুমার সিং তথা পৌরসভার প্রশাসনিক মন্ডলীর ভাইস চেয়ারম্যান, চেয়ারপারসন ভারতী বর্মন ঠিকঠাক পৌরসভা পরিচালনা করতে পারছেন না এমনই অভিযোগ তোলেন পৌরসভার প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অরূপ দে। এরপর একাধিক বিষয় নিয়ে শুরু হয়ে যায় অরূপ দে গোষ্ঠী এবং রাজেশ কুমার সিং এর গোষ্ঠীর মধ্যে বাদানুবাদ। মিটিং শেষে আনুমানিক আটটা নাগাদ বেসরকারি ভবনের বাইরে এক প্রস্থ হাতাহাতি হয়ে যায় সেখানে। এদিকে শহরে শুরু হয় ইলেকট্রিক লোডশেডিং। পরবর্তীতে রাত নয়টা নাগাদ অরূপ দে তার দলবল নিয়ে রাজেশ কুমার সিংহের বাড়িতে চড়াও হয় বলে অভিযোগ। এরপরেই রাজেশ কুমার সিং এর অনুগামী এবং স্থানীয় ব্যবসায়ীরা সেখান থেকে অরূপপন্থী শহর ব্লকের প্রাক্তন যুব সভাপতি বৈদ্যনাথ কুন্ডুকে বেদম মারধর করে। এমনকি অভিযোগ বৈদ্যনাথ কুন্ডু চাকু নিয়ে হামলা চালায়। 



ধূপগুড়ি শহরের প্রাণকেন্দ্র চৌপথি সংলগ্ন এলাকায় এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। মুহূর্তেই প্রচুর মানুষ জড়ো হয়। খবর পেয়ে ধূপগুড়ি থানার আইসি সুজয় তুঙ্গার নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। রাজেশ কুমার সিংয়ের অনুগামীরা জানায় রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা দলীয় অফিসে হবে। অরূপদের অনুগামীরা কেন এইভাবে বাড়িতে চড়াও হল,তাই আমরা প্রতিরোধ করেছি।




যদিও অরূপ দে এই বিষয়ে জানিয়েছেন, রাজেশ কুমার সিংয়ের বাড়িতে চড়াও হওয়ার মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি। একটি বৈঠকে আমার সাথে রাজেশের কথা কাটাকাটি হয়েছে। এর পরবর্তী সময়ে রাজেশ কুমার সিংএর ভাই ফোন করে বৈদ্যনাথ কুন্ডুকে দেখা করতে বলে। এরপর বৈদ্যনাথ কুন্ডু তার বাড়িতে গেলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়। এখানে গোষ্ঠী কোন্দলের কোন বিষয় নেই। পরবর্তীতে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। উপনির্বাচনে এর কোনো প্রভাব পড়বে না বলেও তিনি দাবি করেন। তিনি বলেন," মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে ভোট দিবে, রাজেশ বা অরুপ দেকে দেখে ভোট দিবে না।"




তবে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে যেখানে বিধানসভা উপনির্বাচনের আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে ব্লকের এই দুই হেভিওয়েট নেতার কোন্দল হারানো আসন পুনরুদ্ধার করার বিষয়ে বাধা হয়ে না দাঁড়ায়।