রাজভবনে খুললো 'অ্যান্টি কোরাপশন সেল', নয়া সংঘাত রাজ্য-রাজ্যপাল

WB rajbhawan


পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার পর, সরাসরি সন্ত্রাসের অভিযোগ শুনতে, রাজভবনে খুলেছিলেন পিসরুম। এবার শিক্ষাক্ষেত্রে পাহাড়প্রমাণ দুর্নীতির অভিযোগের প্রেক্ষাপটে 'অ্যান্টি করাপশন সেল' খোলা হল রাজভবনে। রাজ্যপালের এই পদক্ষেপ রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতে নয়া মাত্রা যোগ হল। রাজ্যপাল এভাবে রাজভবনে 'অ্যান্টি কোরাপশন সেল' খুলতে পারেন কিনা, তা নিয়ে ভিন্নমত প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। সুর চড়িয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও।




অ্যান্টি কোরাপশন সেল রাজ্য -রাজভবনের সংঘাতে অন্য মাত্রা যোগ করলো। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর ইঙ্গিত এনিয়ে সুপ্রিমকোর্টেও যেতে পারে রাজ্য। তৃণমূল বিধায়ক ও শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, “সম্পূর্ণভাবে একটা রাজভবন থেকে যেভাবে উচ্চশিক্ষাকে কুক্ষিগত করার চেষ্টা চলছে, এটা একটা অ-বিজেপি শাসিত রাজ্য, যেকোনও রাজ্য়েই এই চেষ্টা চলছে। তবে এই রাজ্য়ে নজিরবিহীন। উচ্চশিক্ষা দফতরের সঙ্গে আলোচনা না করে, এটা যখন উনি করছেন, তখন উনি ধরে নিচ্ছেন প্রতিষ্ঠান দুর্নীতির আখড়া। নজিরবিহীন, অগণতান্ত্রিক। শীর্ষ আদালতে যাওয়ার কথা ভাবনাচিন্তা করছি।’’


নিয়োগ দুর্নীতিতে ভুক্তভোগীরা অবশ্য রাজ্যপালের সিদ্ধান্তে কিছুটা আশার আলো দেখলেও বিশিষ্টজনদের অনেকেই রাজ্যপালের এই পদক্ষেপ নিয়ে ভিন্নমত পোষন করছেন। 



সুপ্রিমকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অশোক গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “যেখানে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকার আছে, সেখানে গভর্নরের রোল অত্যন্ত সীমিত। গভর্নরকে অ্য়াডভাইসের উপর চলতে হয়। স্বাধীনভাবে লেজিসলেটিভ ক্ষমতা নেই। তিনি অর্ডিন্যান্স জারি করতে পারবেন তাও আইনসভা বললে। তাঁর ক্ষমতা নেই। রাজভবনে আইনত বিকল্প প্রশাসনিক ব্যবস্থা চালু করতে পারেন না। না তিনি করতে গেলে আইনত বৈধতা লাগে। আইন কে তৈরি করবে? সেটা তো রাজ্যের নির্দেশে চলে।'