Latest News

6/recent/ticker-posts

Ad Code

অর্থাভাবে আন্তর্জাতিক স্তরে খেলতে যেতে পারছে না কন্যাশ্রীর পোস্টার গার্ল

অর্থাভাবে আন্তর্জাতিক স্তরে খেলতে যেতে পারছে না মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প কন্যাশ্রীর পোস্টার গার্ল

Kanyashree poster girl



সঞ্জিত কুড়ি পূর্ব বর্ধমান :-

অর্থাভাবে আন্তর্জাতিক স্তরে খেলতে যেতে পারছে না মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প কন্যাশ্রীর পোস্টার গার্ল।


২০১৭ সালে পূর্ব বর্ধমানের গুসকরা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী সুস্মিতা রায়কে করা হয় কন্যাশ্রী প্রকল্পের পোস্টার গার্ল। সুস্মিতা পশ্চিম বাংলার পাশাপাশি ভারতবর্ষে নানা জায়গায় বক্সিংএ অংশগ্রহণ করে পূর্ব বর্ধমান ও রাজ্যের হয়ে ব্রোঞ্জ, সোনা ইত্যাদি জয়লাভ করেছে। কিন্তু আর্থিক ভাবে পিছিয়ে থাকার কারণে আন্তর্জাতিক স্তরে খেলতে যেতে পারছে না পশ্চিমবাংলার কন্যাশ্রী প্রকল্পের পোস্টার গার্ল সুস্মিতা রায়। সুস্মিতার বাবা সামান্য একটা ছোট গুমটির দোকানে ফটো বাঁধানোর ব্যবসা করে কোনোরকমে সংসার চালান। নুন আনতে পান্থা ফুরানো সংসারে এযেনো এক স্বপ্ন। এত অর্থ কষ্ট থাকা সত্ত্বেও দুই মেয়েকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তিনি।



রাজ্যে কন্যাশ্রী প্রকল্পের পোস্টার গার্ল হওয়া সত্ত্বেও খেলাধুলার জন্য সরকারের কাছে কোন অনুদান না পাওয়ায় আন্তর্জাতিক স্তরে খেলতে যেতে না পেরে হতাশ কণ্যাশ্রীর পোস্টার গার্ল।

সুস্মিতার আবেদন রাজ্য সরকার জেনো তার দিকে একটু নজর দেয়, তাকে দেখেন ,খেলাধুলার জন্য তার পাশে থাকেন।



২০১৩ সালের ৮ মার্চ রাজ্যের ১৩ থেকে ১৮ বছর বয়সে মেয়েদের জন্য কন্যাশ্রী প্রকল্প করেন রাজ্য সরকার।কন্যাশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে বার্ষিক ৫০০ টাকা এবং এককালীন ২৫ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হয়।অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে থাকা পরিবারের মেয়েদের জীবন ও অবস্থার উন্নয়নে এবং উচ্চ শিক্ষার জন্য এই অর্থ দেওয়া হয় রাজ্য সরকারের পক্ষথেকে। সেখানে দাঁড়িয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে খেলতে যাওয়ার জন্য রাজ্য সরকার তার পাশে না থাকায় মানসিক দিক থেকে ভেঙ্গে পড়েছে কণ্যাশ্রী পোস্টার গার্ল সুস্মিতা রায়।




সুস্মিতা বলে, ২০১৭ সালে তাকে কণ্যাশ্রী প্রকল্পের পোস্টার গার্ল করা হয়। সেই সময় তাকে কোলকাতায় শুধু সংবর্ধনা দেওয়া হয়।এরপর গুসকরা পুরসভার পক্ষ থেকেও তাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। তার খেলাধূলা ও তার পড়াশোনার জন্য তাকে রাজ্যসরকার, বা গুসকরা পুরসভা এবং স্থানীয় বিধায়ক এমনকি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে কোনো আর্থিক সহযোগিতা করা হয়নি দিল্লি, মুম্বাই, আসাম,এবং কোলকাতায় বহুবার বক্সিংএ ব্রোঞ্জ, সোনা জয়লাভ করেছে। এর জন্য যে অর্থ ব্যয় হয়েছে তা স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা ধার নেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক স্তরে খেলতে যাওয়ার জন্য প্রায় আড়াই থেকে তিন লক্ষ টাকা খরচ আছে।এই খরচ বহন করা তাদের পক্ষে সম্ভব না। এই খরচ যদি রাজ্য সরকার বহন করে তার আবেদন করে কণ্যাশ্রী পোস্টার গার্ল সুস্মিতা রায়।এখন সুস্মিতার পাশাপাশি তার বোন কিরনও জাতীয় স্তরে খেলছে। দুজনের আলাদা আলাদা খেলার কিডস না থাকায় চরম সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাদের।




সুস্মিতার মা চন্দনা রায় বলেন ২০১৭ সালে মেয়েকে কণ্যাশ্রী পোস্টার গার্ল করার সময় তাকে কোলকাতায় সংবর্ধনা দেওয়ার সময় একটি কণ্যাশ্রী সার্টিফিকেট ও কিছু বই দেওয়া হয়েছিলো।চন্দনা দেবী বলেন আন্তর্জাতিক স্তরে খেলতে যাওয়ার জন্য যে অর্থ ব্যয় হবে মুখ্যমন্ত্রী যাতে তার ব্যয়ভার বহন করেন সেই আবেদন করেন তিনি।




বক্সিং শিক্ষক পার্থ সারথি পাল বলেন দুই বোনই খুব কষ্ট করছে। অর্থাবস্বা এতটাই খারাপ যে একটা কিড দিয়ে দুজনই খেলছে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় খেলে তারা ব্রোঞ্জ সোনা জয়লাভ করেছে। সামনে আন্তর্জাতিক স্তরে খেলা আছে তুর্কিতে সেখানে খেলতে গেলে প্রায় তিন লক্ষ টাকা খরচ আছে এই খরচটা যদি রাজ্য সরকার বহন করে তাহলে সুস্মিতা কিরন রাজ্যের হয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে খেলতে পারবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Ad Code