কোচবিহার ধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্ত দুইজনের ১৪ দিনের জেল হেফাজত, দ্রুত চার্জশিট জমা দেবে পুলিশ

ambulance
file photo




কোচবিহার কালজনী ধর্ষণ কান্ডে প্রধান অভিযুক্ত বাপ্পা বর্মন এবং সুমন সরকারকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠালো কোচবিহার জেলা ও দায়রা আদালত। মঙ্গলবার তাদের নির্দিষ্ট সময় আদালতে তোলা হলে বিচারপতি তাদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়। বাকি তিনজনের আগে থেকেই জেল হেফাজত নির্দেশ হয়েছিল। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে দ্রুত হাতে এসে পৌঁছবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট। এবং সেই সাথে চার্জশিট তৈরির কাজ শুরু হয়ে গেছে পণ্ডিবাড়ী থানার মাধ্যমে। সূত্রের খবর, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠিন থেকে কঠিনতম চার্জশিট জমা করতে চলেছে কোচবিহার পুলিশ।

ইতিমধ্যেই দোষীদের শাস্তির দাবিতে কোচবিহার জেলার বিভিন্ন স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা রাস্তায় নেমে অবরোধ এবং বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন। তাদের দাবি একটাই অভিযুক্ত দের সর্বোচ্চতম সাজা ফাঁসি। দফায় দফায় কোচবিহারের বিভিন্ন স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের মাধ্যমে এই দাবি ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়া সহ বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

প্রসঙ্গত, ১৮ ই জুলাই থেকে নিখোঁজ হওয়া কালজানি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার খাপাইডাঙ্গা গ্রামের ১৪ বছরের নাবালিকা ছাত্রীর ধর্ষণ কাণ্ডে উত্তাল হয়েছে কোচবিহার জেলা। প্রায় নয় দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে সেই নাবালিকা। এর পর থেকে দোষীদের সাজার দাবিতে দফায় দফায় আন্দোলন এবং বিক্ষোভ হয়ে আসছে কোচবিহার জুড়ে।

পাঁচ দিনের পুলিশে হেফাজতেরপর এদিন মূল অভিযুক্তদের আদালতে তোলা হলে তাদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। কোচবিহার জেলা পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, উক্ত ঘটনার সম্পূর্ণ তদন্ত করে ইতিমধ্যেই আদালতের কাছে পুলিশের তরফ থেকে চার্জশিট দেওয়ার কাজ চলছে তড়িৎ গতিতে। খুব দ্রুত ট্রায়াল শুরু হবে এই মামলার। উক্ত ঘটনায় পুলিশী তৎপরতার প্রশংসা করেছে কোচবিহার জেলার সাধারণ মানুষ।