ইংরেজদের বিরুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র, সঙ্ঘবদ্ধ লড়াই, বিদ্রোহের অপর নাম 'হুল দিবস'

হুল দিবস


সঞ্জিত কুড়ি পূর্ব বর্ধমান :-


নিজেদের অধিকার বুঝে নিতে অত্যাচারী ব্রিটিশ শাসকের বিরুদ্ধে ১৮৫৫ সালের ৩০ শে জুন সিধু মুর্মু ও কানু মুর্মুর ডাকে ইংরেজদের ওপরে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন সাঁওতাল যুবকরা।



অত্যাচারী শাসকের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ প্রথম লড়াই হল এই সাঁওতাল বিদ্রোহ। প্রথম দিকে, দশ হাজার লোকের সমাগমে এই বিদ্রোহ সংগঠিত হলেও পরের দিকে এই আন্দোলনের আঁচ আদিবাসী অধ্যুষিত অঞ্চলের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে।



ঝাড়খণ্ড রাজ্যের সাহেবগঞ্জ জেলার ভাগনাদিহির মাঠে থেকে এই সংগ্রাম শুরু হয়। পরবর্তীকালে বিহারের ভাগলপুর লাগোয়া অঞ্চল এই আন্দোলন ছড়িয়ে পরে। সাঁওতালদের বিদ্রোহ রুখতে ইংরেজ সেনা বাহিনীকে পুরোদস্তর শক্তি প্রয়োগ করতে হয়েছিল। ইংরেজদের গুলিতে সিধু মারা যান। ফাঁসি দেওয়া হয় কানুকে।আর এর পর থেকেই গোটা দেশ জুড়ে পালিত হয় হুল দিবস। 



এই হুল দিবস উপলক্ষে শুক্রবার বর্ধমান পারবীরহাটা উৎসব ময়দান থেকে র‌্যালি করে কোর্ট কম্পাউন্ডে থাকা সিধু কানুর মূর্তিতে মাল্যদান করেন বর্ধমান জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি দেবু টুডু সহ আদিবাসী সম্প্রদায়ের অন্যান্য ব্যাক্তিবরগরা।