কেন্দ্রীয় বাহিনী সহ , SMS নির্ভর হেল্পলাইন চালুর দাবীতে কোচবিহারে ভোটকর্মীদের বিক্ষোভ
ইতিমধ্যে রাজ্যে পঞ্চায়েত সাধারণ নির্বাচন বিষয়ে মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রীয় বাহিনী সংক্রান্ত কলকাতা হাই কোর্টের রায় বহাল রাখেন এবং অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ ভোটের নির্দেশ দেন।
গত ২১/০৬/২০২৩ মহামান্য কলকাতা উচ্চ আদালত রায় দিয়েছেন যে, ২০১৩ সালে মোতায়েন কেন্দ্রীয় বাহিনীর থেকে অধিক সংখ্যক কোম্পানি ২০২৩-এর নির্বাচনে নিযুক্ত করতে হবে।
তবে অভিযোগ, উচ্চ ন্যায়ালয়ের নির্দেশ সত্বেও হুগলি জেলার হুগলি ওমেন্স কলেজ, পিপুলপাটি কেন্দ্রে ভোটকর্মীদের ট্রেনিং-এর সময় হুমকির সম্মুখীন হতে হয়। রাজনৈতিক দলের আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ভোটকর্মীদের প্রাণনাশের হুমকি দেয় এবং সর্বোপরি রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে অনেক চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের পোলিং অফিসার হিসাবে নিয়োগ করে একটি অচলাবস্থার সৃষ্টি করা হচ্ছে। এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানানো হয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের পক্ষ থেকে।
আজ কোচবিহার রামভোলা হাইস্কুলের ভোটের ট্রেনিং এর দ্বিতীয় দিনে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের পক্ষ থেকে ট্রেনিং নেওয়ার পর একাধিক দাবীতে আন্দোলন শুরু হয়।
আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত বিডিও'র সাথে দেখা করে তাদের একাধিক দাবী দাওয়ার কথা স্বারকলিপি আকারে জমা দিতে চাইলেও বিডিও না থাকায় তা দিতে পারেননি।
আন্দলনকারীদের মূলত দাবী-
১) অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সুনিশ্চিত করতে এবং ভোটার তথা ভোটকর্মীদের সুরক্ষা প্রদানে অবিলম্বে আদালতের নির্দেশ পালন করতে হবে।
২) কেন্দ্রীয় বাহিনীর যথাযথ ব্যবহার সুনিশ্চিত করা প্রযোজন। ভ্রাম্যমান নিরাপত্তা কেন্দ্র ( HRFS ইত্যাদি ) বাদ দিয়ে সবার প্রথমে ভোটকেন্দ্রে ভোটকর্মীদের সুরক্ষা ও গণতান্ত্রিক মতের সঠিক প্রতিফলন নিশ্চিত করতে, সারা রাজ্যের সমস্ত ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে P-1 দিন থেকে বুথ পিছু চারজন হিসাবে পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি জানাচ্ছি।
৩) ভোটকর্মীদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার স্বার্থে SMS নির্ভর হেল্পলাইন চালু করার দাবি — যেখানে ভোটকর্মীরা আক্রান্ত হলে বা অবাধ ভোটদান প্রক্রিয়া ব্যাহত হলে প্রিসাইডিং অফিসার অভিযোগ জানাতে পারবেন। অভিযোগ জানানো মাত্র অনলাইনে একটি ট্রাকিং নাম্বার দিতে হবে, যা অভিযোগের নিষ্পত্তি পর্যন্ত চালু থাকবে। অনলাইনে ঐ অভিযোগ জেলা পঞ্চায়েত নির্বাচন আধিকারিক তথা জেলাশাসক, জেলা পুলিশ সুপার, পঞ্চায়েত রিটার্নিং অফিসার তথা সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক, সেক্টর অফিসার সবার কাছে পাঠাতে হবে। প্রত্যেক আধিকারিক ঐ অভিযোগের ভিত্তিতে কী ব্যবস্থা নিয়েছেন, তাও অনলাইনে নথিভূক্ত করার ব্যবস্থা করতে হবে। অভিযোগের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত অভিযোগকারী যাতে এই ব্যবস্থাটা অনলাইনে দেখতে পান, তার ব্যবস্থা করতে হবে।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊