দুঃসংবাদ ! অবশেষে মারা গেলেন প্রিজাইডিং অফিসার শিক্ষক রেবতী মোহন বিশ্বাস
নদীয়া জেলার শিক্ষক রেবতী মোহন বিশ্বাস, এবার রাজ্য সাধারন পঞ্চায়েত নির্বাচনে রিজার্ভ প্রিজাইডিং অফিসার হিসাবে দায়িত্ব পেয়েছিলেন। কিন্তু ৭ তারিখে তাকে রিজার্ভ থেকে ডেকে ডিউটি দেওয়া হয়। ভোটের দিন থেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। গতকাল রাত্রে মারা যান শিক্ষক রেবতী মোহন বিশ্বাস ।
অভিযোগ, "শিক্ষক রেবতী মোহন বিশ্বাসের অনিচ্ছা সত্ত্বেও করিমপুর-1 ব্লকের B.D.O. জোর করে তাকে ডিউটিতে পাঠান ওই ব্লকের অন্তর্গত বুথ নাম্বার-134, নন্দলালপুর S.S.K.তে।" আরও পড়ুনঃ ঈশ্বরেই ভরসা ইসরোর !
আরও অভিযোগ "ওখানে পৌঁছানোর পর থেকেই দুষ্কৃতকারীরা উনাকে ক্রমাগত চাপ দিতে শুরু করেন। রাতের দিকে অবস্থা চরমে পৌঁছায়। এই বুথের পাহারায় কোন কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল না। এই চাপ সহ্য করতে না পেরে রেবতী বাবুর বুথের মধ্যেই Cerebral Attack হয়।ভোরের দিকে হওয়ায় বাকি ভোটকর্মীরা বুঝতে পারেননি। তারপরে যখন প্রশাসনে খবর দেওয়া হয় তারা যথারীতি কোনো ব্যাবস্থা নেয়নি এবং সময় নষ্টের খেসারত দিতে হয় রেবতী বাবুকে।"
জানাযায়, "বহু টালবাহানার পরে হাসপাতালে ভর্তি করলেও অবস্থা ক্রমাগত খারাপ হতে থাকে শিক্ষক রেবতী মোহন বিশ্বাসের। গতকাল রাত 9:30 টায় মৃত্যু হয় শিক্ষক রেবতী মোহন বিশ্বাসের। মৃত্যুকালে রেখে গেলেন স্ত্রী ও ১৩ বছরের কন্যাকে।"
সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ বলেছেন-" আমাদের মতে এটা পরিকল্পনা করে খুন ছাড়া কিছুই নয়। ভোট নিতে গিয়ে সরকারি কর্মচারীদের 'রাজকুমার রায়' হওয়ার পালা আমরা ভেবেছিলাম বোধায় শেষ হলো। কিন্তু দুঃখের সাথে জানাচ্ছি এই পরিণতি শেষ হওয়ার নয়। যেখানে প্রতিষ্ঠান স্বয়ং ভোট কর্মীদের শূলে চড়ানোর উদ্যোগ নেয় এবং আমরাও প্রতিবাদ হীন ভাবে নিজেদের তাদের হাতে শঁপে দিই তখন 'রাজকুমার রায়' ইতিহাসের পাতায় নতুন নতুন নাম নিয়ে ফিরে আসে।"
তিনি আরও বলেন- "রেবতী বাবুর সুবিচারের জন্য ও ভবিষ্যতের রেবতী হাওয়া থেকে বাঁচতে প্রতিবাদে মুখর হোন।"
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊