বুথে বুথে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা না পেলে ভোট করতে না যাবার সিদ্ধান্তে অটল যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের বিক্ষোভ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে
সঞ্জিত কুড়ি পূর্ব বর্ধমান :-
বুথে বুথে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা না পেলে ভোট করতে না যাবার সিদ্ধান্তে অটল যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের বিক্ষোভ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে।
শুক্রবার থেকে শুরু হয়ে গেল পূর্ব বর্ধমান জেলার পঞ্চায়েত ভোটের ভোটকর্মীদের প্রশিক্ষণ। আর এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রেই 'প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী পাবো না, ভোট নিতে যাবো না', 'কাকদ্বীপ থেকে কোচবিহার, কেউ আর নয় রাজকুমার' এই শ্লোগানকে সামনে রেখে বিক্ষোভ মিছিলে মাতলেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সমর্থকরা। এদিন জেলার কালনা, কাটোয়া সহ বর্ধমান শহরের তিনটি স্কুলেও ভোট কর্মীদের মধ্যে পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ আছড়ে পড়ল।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গোটা জেলায় আসন্ন পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে প্রায় ২৭ হাজার পুরুষ এবং ৩ হাজার ৬০০ মহিলা ভোট কর্মীকে প্রশিক্ষণের জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার প্রথম দিনে গোটা জেলায় প্রায় ৪ হাজার ভোটকর্মী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে হাজির হয়েছেন বলে জানা গেছে। যদিও এদিন যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের সদস্য আমজাদ আলি, সঞ্জয় বিশ্বাস, সৌমেন্দ্র মোহন পাঁজা প্রমুখরা জানিয়েছেন, এদিন তাঁরা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে হাজির হয়েছেন এবং হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করলেও তাঁরা মূল প্রশিক্ষণকে বয়কট করেছেন।
তাঁদের দাবী, প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে মোতায়েন করা এবং তাঁদের নিরপেক্ষভাবে কাজ করার অধিকার সুনিশ্চিত করার মাধ্যমে ভোটকর্মীদের নিরাপত্তা আগে সুনিশ্চিত করতে হবে তবেই তাঁরা ভোট কেন্দ্রে যাবেন। নাহলে তাঁরা ডিসিআরসিতেও এই দাবীতে বিক্ষোভ দেখাবেন শুধু তাইই নয়, প্রয়োজনে তাঁরা বুথ থেকে বেডিং নিয়েই ফিরে আসবেন।
এদিকে, এই দাবীকে সামনে রেখে এদিন বর্ধমান শহরের বিদ্যার্থী ভবন গার্লস হাইস্কুল, বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল বয়েজ হাইস্কুল এবং টাউন স্কুল সহ কাটোয়া ও কালনাতেও বিক্ষোভ দেখান যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের সদস্যরা। উল্লেখ্য, এদিন এই মঞ্চের সদস্য আমজাদ আলি জানিয়েছেন, তাঁরা সমস্ত ধরণের ভোটকর্মীদের কাছে আবেদন করেছেন, ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে কোনোরকম কোনো রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে কোনো সুবিধা নেবেন না, বা সুবিধা দেবেন না। এমনকি কোনোরকম প্ররোচনাতেও পা না দেবার আবেদন জানিয়েছেন।
তিনি জানিয়েছেন, বিগত দিনে তাঁরা দেখেছেন ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলগুলি নিজেদের ফায়দা তোলার জন্য ভোটকর্মীদের খাওয়া দাওয়া সহ বিভিন্ন রকম সুযোগ সুবিধা দিয়ে কার্যত নিজেদের অনুকূলে আনার চেষ্টা করেছেন। এবারে যাতে সেরকম না ঘটে সেজন্য তাঁরা ভোটকর্মীদের কাছে আবেদন জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং ভোটকর্মীদের নিরাপত্তার দাবীতে আগামী ২৫ জুন কলকাতায় তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊