Assam : প্রবল ঝড়-বৃষ্টির জেরে দুজনের মৃত্যু, 41000 জনেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত, স্কুল-কলেজ বন্ধ তিনসুকিয়ায়
গত 48 ঘন্টায় আসামের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি, শিলাবৃষ্টি এবং শক্তিশালী ঝড়ের কারণে 144টি গ্রামে কমপক্ষে দুইজন মারা গেছে এবং 41,400 জনেরও বেশি লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আসাম রাজ্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ের কারণে রাজ্যের অনেক জায়গায় গাছ ও বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে গেছে।
আসাম স্টেট ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি (ASDMA) রিপোর্ট অনুসারে, শনিবার জেলায় প্রবল ঝড়ের আঘাতে তিনসুকিয়া জেলার দমডুমা এলাকায় দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের নাম বিজয় মানকি (57) এবং দেব কুমার ঠাকুর (26)। অন্যদিকে হাইলাকান্দি, তিনসুকিয়া, নগাঁও এর ১৪৪টি গ্রামের মোট ৪১ হাজার ৪১০ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া গোয়ালপাড়া, কাছাড়, ধুবড়ি, বনগাইগাঁও প্রবল ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ASDMA রিপোর্টে বলা হয়েছে ঝড় ও বৃষ্টির কারণে বেশ কিছু বাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ৬৩৩ টি কাঁচা ঘর ও ৪২টি পাকা ঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জানা গেছে, শনিবার গোয়ালপাড়া জেলার বন্দরমাথা এলাকায় বজ্রপাতে পাঁচটি গরু মারা গেছে।
ASDMA প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে শিলাবৃষ্টির ফলে ধাতুর ছাদের শীটগুলিতে গর্ত হয়েছে, যার ফলে বোঙ্গাইগাঁও জেলার ডাঙ্গতাল রাজস্ব বিভাগের অধীনে ঘিলাগুড়ি, ডাবলি এবং দিগদারি গ্রামে 85টি বাড়িতে ছাদ ফুটো হয়েছে। ধুবরি জেলার 24টি গ্রামও প্রবল ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তিনসুকিয়ায় প্রবল ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এরফলে ২৪ এপ্রিল জেলার সব স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। তিনসুকিয়া জেলার জেলা প্রশাসক কর্তৃক জারি করা একটি আদেশে বলা হয়েছে যে শনিবার এবং রবিবার প্রবল বাতাস এবং শিলাবৃষ্টির কারণে সৃষ্ট ধ্বংসযজ্ঞের পরিপ্রেক্ষিতে জেলার সমস্ত স্কুল ও কলেজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊