যা দেখে এলাম তা আতঙ্কিত হবার বিষয়, লাটাগুড়িতে বললেন মেধা পাটেকর

medha patekar



জঙ্গল কেটে আবাসন নির্মান হলে অক্সিজেনের অভাবে কষ্ট পেতে হবে মানবজাতিকেই- মেধা পাটেকর

জলপাইগুড়ি:

জঙ্গল কেটে আবাসন নির্মান হলে অক্সিজেনের অভাবে কষ্ট পেতে হবে মানবজাতিকেই, জলপাইগুড়িতে বললেন মেধা পাটেকর।

শনিবার শহরে একটি আলোচনা সভায় যোগ দেবার পূর্বে দেশের অন্যতম পরিবেশ প্রেমী এবং নর্মদা বাঁচাও আন্দোলনের নেত্রী মেধা পাটেকর গরামারা জাতীয় উদ্যান এলাকার লাটাগুড়ি অঞ্চলে জঙ্গল ঘেঁষে বেসরকারী আবাসন প্রকল্পের স্থান পরিদর্শনে যান, এরপরেই তিনি জানান যা দেখে এলাম তাতে আতঙ্কিত হবার বিষয়।

জঙ্গল ধ্বংস করে হাতি চলাচলের রাস্তা আটকে যে নির্মান করা হচ্ছে তাতে সব থেকে বেশি ক্ষতির মুখে পরবে মানব জাতি, কারন জঙ্গল কেটে ফেলায় অক্সিজেনের অভাব হবেই, আর অক্সিজেন কি তাতো আমরা বুঝেছি করোনা অতিমারির সময়, কত মানুষের মৃত্যু হয়েছে, শুধু মাত্র অক্সিজেনের অভাবে।

নদী হলো ইকোলজিকাল সিটিজেন, বিপন্ন তিস্তা , শীর্ষক আলোচনা সভায় বললেন, বিশিষ্ঠ সমাজ কর্মী মেধা পাটেকর।

শনিবার অভিমুখ সেচ্ছা সেবি সংগঠনের পক্ষ থেকে আয়োজিত এই আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তণ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুশীল বনসল, অধ্যাপক রূপক পাল, বিশিষ্ঠ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব দেব প্রসাদ রায় সহ রিভার ম্যান বলে পরিচিত সিকিমের নদী আন্দোলনকারী গেমসো ডি লেপচা সহ জেলার পরিবেশ প্রেমী সংগঠণ এবং বিভিন্ন স্তরের মানুষ।

নিজের বক্তব্য রাখতে গিয়ে নর্মদা বাঁচাও আন্দোলনের নেত্রী মেধা পাটেকর বলেন, নদি হলো ইকোলজিকাল সিটিজেন, তারও বেচেঁ থাকার অধিকার আছে।

কিন্তু আজ যখন তিস্তার দুপার দেখে আসছি তখন আতংকিত হচ্ছি, এই নদী ধ্বংসের থেকেও সঙ্কট দেখা দেবে প্রাণবায়ু অক্সিজনের, আর অক্সিজেন না পেলে কি হয় তা আমরা সকলেই ভুক্তভুগী করোনা অতিমারির পর থেকে।

এদিনের এই আলোচনা সভায় তিস্তার সৃষ্টি থেকে পাদদেশ বিচরণ নিয়ে একটি তথ্য সমৃদ্ধ ডকুমেন্টারি তুলে ধরেন অধ্যাপক রূপক পাল।