Primary TET: 'আইন না মানলে পরীক্ষা বন্ধ করে দেব', পর্ষদকে হুঁশিয়ারি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের



High Court


পর্ষদের ভূমিকা নিয়ে একের পর এক অভিযোগ। খাতা থেকে ওএমআর, তালিকা প্রকাশ সবেতেই অভিযোগ। ২০১৪ ও ২০১৭ সালের টেটের পরীক্ষার্থীদের ফলপ্রকাশে নিয়ম না মানার অভিযোগও উঠেছে। সেই শুনানিতেই কড়া মন্তব্য বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। নিয়ম না মানলে ডিসেম্বরের টেট (Primary TET) বন্ধ করে দেওয়া হবে, এমনটাই এদিন হুঁশিয়ারি দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।



এর আগে পর্ষদের প্রশংসা করেছিলেন বিচারপতি। কিন্তু এদিন সেই মন্তব্য ফিরিয়ে নিয়ে তাঁর মন্তব্য, “পর্ষদ বন্ধুর মতো আচরণ করছে না। আমি আমার আগের মন্তব্য প্রত্যাহার করছি, যেখানে বলেছি নিয়োগে বাধা দেব না। এখন যদি দেখি আইন মানা হচ্ছে না পরীক্ষা বন্ধ করে দেব।”



৭ নভেম্বর ২০১৭-র সংরক্ষিত বিভাগের ৮২ নম্বর পাওয়া প্রার্থীদের টেট উত্তীর্ণ বলে ঘোষণা করা হলেও, ২০১৪ নিয়ে কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি করেনি পর্ষদ। আদালতের চাপে ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণদের নম্বর প্রকাশ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। আর তারপরেই ২০১৪ সালের টেট এর নম্বর প্রকাশ করার দাবিতে আদালতের দারস্ত হন বেশ কিছু প্রার্থী। তাদের দাবি ছিল কলকাতা হাইকোর্ট ২০১৭ এর পাশাপাশি ২০১৪ সালের নম্বর প্রকাশ করার নির্দেশ দিলেও পর্ষদ বিজ্ঞপ্তিতে ২০১৭ এর টেটের নম্বর প্রকাশ করার উল্লেখ করেছে। অবশেষে আজ সেই মামলা ওঠে আদালতে।



মামলায় আজ কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়ে দিল, শুক্রবারের মধ্যে ২০১৪ সালে সংরক্ষিত বিভাগে অর্থাত্ যারা ৮২ নম্বর পয়েছেন তাদের উত্তীর্ণ বলে ঘোষণা করা হবে। প্রকাশ করা হবে তালিকাও।