২৮৮ বছরের প্রাচীন আসানসোল গ্রাম দুর্গাপূজা কমিটি

some women with shari



রামকৃষ্ণ চ্যাটার্জী: আসানসোল:-

বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপূজার বুধবার দশমী। বিষাদের সুর বারোয়ারী থেকে বনেদি বাড়ির পূজায়। কারণ পাঁচ দিন পর উমা পারি দিচ্ছে কৈলাশে। আর তাই উমাকে বিদায় জানাতে প্রথা মেনে চললো সিঁদুর খেলা। এমনি দৃশ্য দেখা গেল পশ্চিম বর্ধমানের বেশিরভাগ পূজামণ্ডপে। বাদ নেই আসানসোল গ্রাম দুর্গাপূজা কমিটি।




আজ বিজয়া দশমী আর দুর্গাপুজোর নিয়ম রীতি মেনে সকাল থেকে বিজয় দশমীর পূজো শেষ হয়েছে।এই বার নিয়ম রীতি মেনে ঘট ও নবপত্রিকা বিসর্জনের পালা আসানসোলের বিভিন্ন পুকুর ও নদী ঘাটে। গত দুই বছর করোনা বিধি থাকলেও এই বছর তেমন কিছু বিধি নিষেধ নেই তাই পুরানো বিধি নিষেধ ভুলে সিঁদুর খেলায় মাতলো আসানসোলের ২৮৮ বছরের প্রাচীন আসানসোল গ্রাম দুর্গাপূজা কমিটি। আসানসোলের সিঁদুর খেলায় মাতলো পুরুষ, মহিলারা।




এমনি দৃশ্য দেখা গেল শুক্রবার আসানসোল শহরের ২৮৮ বছরের প্রাচীন আসানসোল গ্রাম দূর্গা পূজায়। আসানসোল গ্রামের আঘুরি পাড়াতে একসাথে ৯ টা দূর্গা পূজা হয়।বড়ো দুর্গা, মেজো দুর্গা, সেজো দূর্গা, ছোটো দূর্গা করে নাম আছে। আর এখানে ২৮৮ বছরের পূজো। যদিও কোনো থিম না থাকলেও এখানে দোলা আগমন ও বিসর্জন দেখার মতো। এখানে দশমীর দিন সিঁদুর খেলা বিখ্যাত। বহু দূরদূরান্ত থেকে অনেক মানুষ এখানে সিঁদুর খেলা দেখতে আসেন। আসানসোল গ্রামের রামসায়ের পুকুরে চলে এই সিঁদুর খেলা।আট থেকে আশি বছর বয়সীরা মাতলেন এদিনের এই সিঁদুর খেলায়। পরে প্রথা মেনে রাত্রি ১০.৩০ মিনিটের মধ্যে দেবীকে বিসর্জন করা হবে বলে জানা গেছে।