বর্ধমানের কার্নিভালে চাঙ্কি পান্ডে, ব্যাপক উন্মাদনা কার্নিভাল নিয়ে, রাজপথে জনস্রোত
সঞ্জিত কুড়ি পূর্ব বর্ধমান- বিতর্ক, সমস্যা, দুর্ভোগকে সরিয়ে রেখেই শুক্রবার গোটা রাজ্যের সঙ্গে বর্ধমান শহরে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে প্রথম অনুষ্ঠিত হল 'দুর্গা পুজোর কার্নিভাল '। বর্ধমান শহর এবং শহর সংলগ্ন মোট ৩১ টি পুজো কমিটি অংশ নিলেন এই কার্নিভালে। বর্ধমান শহরের বড়নীলপুর সৎ সঙ্গ ভবন এলাকায় এদিন কার্নিভালের উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া, সহকারী সভাধিপতি দেবু টুডু, জেলা শাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা, জেলা পুলিশ সুপার কামনাশীষ সেন, জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক রামশংকর মন্ডল, অভিনেতা চাঙ্কি পান্ডে প্রমুখরা। সৎ সঙ্গ ভবন থেকে এদিন এই কার্নিভাল অনুষ্ঠিত হল মেহেদিবাগান পর্যন্ত।
কার্নিভাল উপলক্ষে মুল মঞ্চ তৈরী করা হয় কার্জন গেটের সামনে। এই মঞ্চে জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের পাশাপাশি হাজির ছিলেন বলিউড তারকা চাঙ্কি পান্ডে। প্রত্যেকটি পুজো কমিটিকে কার্নিভালে অংশ নেওয়ার জন্য ৭টি গাড়ির অনুমোদন দেওয়া হয়। কার্জন গেটের সামনে প্রত্যেকটি পুজো কমিটিকে ৪ মিনিট করে নিজেদের পারফরম্যান্স তুলে ধরার জন্য সময় দেওয়া হয়। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের পাশাপাশি বিভিন্ন থিম তুলে ধরেন পুজো কমিটিরা। কেউ পরিবেশ সচেতনতা নিয়ে, কেউ তুলে ধরলেন মনীষীদের, কেউ তুলে ধরলেন হারিয়ে যাওয়া দিনগুলোকে।
বিকাল ৫ টায় কার্নিভালের উদ্বোধন হলেও এদিন বিকাল ৪ টে থেকেই কার্জন গেট সংলগ্ন রাস্তার দুপাশে কাতারে কাতারে মানুষের ভিড়ে উপচে পড়ে। পরিস্থিতি সামাল দিতে মোতায়েন করা হয় প্রচুর পুলিশ কর্মী, সিভিক ভলেন্টিয়ারদের। জায়গায় জায়গায় প্রস্তুত রাখা হয় র্যাফ সহ স্ট্যাকো ফোর্সকেও। মোতায়েন করা হয় পুলিশের প্রমিলা বাহিনী এবং মহিলা পুলিশের উইনার্স গ্রুপকেও।
এদিকে, এই কার্নিভালকে ঘিরে এদিন দুপুর ২ টো থেকেই বর্ধমান শহরের লাইফ লাইন জি টি রোডের যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করায় দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ মানুষ। একইসঙ্গে আগাম জানানো সত্ত্বেও শহরের বেশ কিছু রাস্তায় বিদ্যুতের তার, কেবল টিভির তার, ইন্টারনেটের তার না সরিয়ে নেওয়ায় এদিন সকালেই সেই সমস্ত তারকে কেটে দেওয়ায় সমস্যায় পড়েন বেশ কিছু এলাকার নাগরিকরা। যদিও বিকাল থেকেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় এই সমস্যা মেটানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়।
এদিন জেলাশাসক প্রিয়াংকা সিংলা জানিয়েছেন, বর্ধমানে প্রথম এই কার্নিভালের উতসাহ দেখে আগামী বছর গোটা জেলার অন্যান্য মহকুমার পুজো কমিটিকে নিয়ে আরও বড় করে এই কার্নিভাল করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊