দীর্ঘদিন ধরেই বেহাল জলপাইগুড়ির বি-ফার্ম কলেজের স্টুডেন্ট হোস্টেল
জলপাইগুড়ি, সংবাদ একলব্যঃ পড়ুয়া নয়, বট-পাকুড়ের দখলে গোটা আবাসন। দেওয়াল,পিলারকে আষ্টেপৃষ্টে বেঁধে রেখেছে গাছের শিকড়। জানালা দরজার অস্তিত্ব নেই। খসে পড়ছে পলেস্তারা। দীর্ঘদিন ধরেই বেহাল জলপাইগুড়ির বি-ফার্ম কলেজের স্টুডেন্ট হোস্টেল। বাধ্য হয়েই বহিরাগত পড়ুয়ারা নিজেদের ব্যবস্থা করে নিয়েছেন অন্যত্র। বেশিরভাগই রয়েছেন মেসবাড়িতে।১৯৮০ সালে তৈরী হওয়া এই ছাত্রাবাসটির বেহাল দশায় সমস্যায় পড়ছেন বহিরাগত ছাত্ররা। দ্রুত সংস্কারের জন্য পদক্ষেপ করতে চলেছে ফার্মেসী কলেজ কর্তৃপক্ষ। এদিকে ছাত্রাবাসের হাল ফেরাতে প্রয়োজনীয় সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন জলপাইগুড়ির বিধায়ক ডা. প্রদীপ কুমার বর্মাও।
১৯২৭ সালে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় সূচনা হয় জ্যাকসন মেডিকেল স্কুলের।স্বাধীনতার পর তা বদলে যায় ফার্মেসী ইন্সটিটিউটে। প্রথমে ডিপ্লোমা কোর্স চালু ছিল। ২০০৩ সাল থেকে ডিগ্রি কোর্স চালু হয়। বছর চল্লিশেক আগে বহিরাগত ছাত্রদের জন্য কলেজের পশ্চিম প্রান্তে ধরধরার পাশে নির্মিত হয় এই ছাত্রাবাস। একসময়ে জমজমাট থাকলেও বর্তমানে পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে রয়েছে এটি। ভেঙে গিয়েছে দোতলায় ওঠার সিঁড়ির রেলিং বারান্দার একাংশও ভেঙে গিয়েছে।তথৈবচ শৌচাগারের অবস্থাও। যত্রতত্র ছড়িয়ে রয়েছে কংক্রিটের ভাঙা অংশ। ছাদের প্ল্যাস্টার খসে বেরিয়ে গিয়েছে লোহা।
এদিকে ছাত্রাবাসের কোন ঘরেই জানালা দরজার অস্তিত্ব নেই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাসিন্দা জানান, কাঠের জানলা দরজার একাংশ খুলে নিয়ে গিয়েছে দুষ্কৃতীরা। এদিকে মূল ফটকে ঝুলছে তালা। আগাছায় ঢেকে রয়েছে ভবনের একাংশ।
ছাত্রাবাসের এই দশায় স্বভাবতই সমস্যায় পড়ছেন পড়ুয়াদের একাংশ। গাঁটের কড়ি অতিরিক্ত খরচ করে মেস বা বাড়ি ভাড়া করে থাকতে হচ্ছে তাদের। কলেজের অধ্যক্ষ সৌমিত্র অধিকারী বলেন, কলকাতা গিয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তিনি। পুরানো ভবনের সংস্কার কিম্বা নতুন ভবন নির্মাণ করা হবে। এবিষয়ে ওপর মহল থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। দ্রুত কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
জলপাইগুড়ির বিধায়ক ডা. প্রদীপ কুমার বর্মা বলেন, ঐতিহ্যবাহী ফার্মেসী ইন্সটিটিউটের ছাত্রাবাস পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে।তিনি অধ্যক্ষের সাথে কথা বলে যতটা সম্ভব সহায়তা করবেন যাতে এই ছাত্রাবাস পুনরায় স্বমহিমায় ফিরে আসতে পারে।
0 মন্তব্যসমূহ
thanks