১৪ই অগাস্ট Partition Horror Remembrance Day


Partition Horror Remembrance Day




১৫ই আগস্ট দেশের স্বাধীনতা দিবস। আর স্বাধীনতা দিবসের আগের দিন ১৪ই অগাস্ট দিনটি Partition Horror Remembrance Day। ২০২১ সালে কেন্দ্র সরকার দেশের ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে ভয়াবহ দেশভাগ স্মরণ দিবস হিসেবে এই দিনটিকে ঘোষনা করে। 


১৪ই অগাস্ট 'ভয়াবহ দেশভাগ স্মরণ দিবস' হিসেবে পালন করা হবে বলে জানিয়েছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দেশভাগের যন্ত্রণা কখনও ভোলার নয়। এরপর ভারত সরকারকের তরফে এই দিনটিকে 'ভয়াবহ দেশভাগ স্মরণ দিবস' হিসেবে পালন করার ঘোষনা দেওয়া হল।


গেজেট নোটিফিকেশনে ভারত সরকার জানিয়েছে, সারা দেশের মানুষ আজকের দিনে 'আজাদি কা অমৃত মহোৎসব' পালন করছে স্বাধীনতার জন‍্য যারা আত্মবলিদান দিয়েছেন তাঁদের সম্মান জানাতে। দেশের স্বাধীনতার ৭৫-এ সারা দেশব‍্যাপী 'আজাদি কা অমৃত মহোৎসব' পালন করছে দেশ। 


দেশভাগের জন‍্য যারা প্রাণ দিয়েছেন তাঁদের সম্মান জানাতে ভারত সরকার ১৪ই অগাস্ট দিনটিকে Partition Horror Remembrance Day হিসেবে ঘোষনা করেছে।


বর্তমান ও ভবিষ‍্যৎ প্রজন্মকে ভারত ভাগের ব‍্যাথা ও সংগ্রামের বিষয়ে মনে রাখতে এই দিনটিকে Partition Horror Remembrance Day হিসেবে ঘোষনা করা হয়।


প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, আমাদের লক্ষ লক্ষ ভাই-বোন অর্থহীন বিদ্বেষ ও হিংসায় আশ্রয়চ্যূত হয়েছেন, প্রাণ হারিয়েছেন। ওই সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের কথা স্মরণে রেখে ১৪ অগাস্ট 'ভয়াবহ দেশভাগ স্মরণ দিবস' হিসেবে পালন করা হবে।


তিনি আর বলেন, ভয়াবহ দেশভাগ স্মরণ দিবস সামাজিক বিভাজন, অনৈক্যের বিষ দূর করার প্রয়োজনীয়তার কথা মনে করিয়ে দেবে এবং একাত্মতা, সামাজিক ঐক্য ও মানুষের ক্ষমতায়ণের ক্ষেত্রে গুরুত্ব আরোপ করবে।


উল্লেখ্য, ১৯৪৭-এর ১৪ অগাস্ট পাকিস্তান ও ১৫ অগাস্ট ভারতকে পৃথক দেশ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ১৪ই অগাস্টেই দেশভাগ চুড়ান্ত হয়। এই বিভাজনে শুধু ভারতই নয়, বাংলাও দ্বিখণ্ডিত হয়েছিল। সেসময় পূর্ব বাংলা পাকিস্তানের অংশ হয়। পরে ১৯৭১-এ পূর্ব পাকিস্তান যা স্বাধীন বাংলাদেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।