শিক্ষাকেন্দ্রে জাল ডিগ্রি তৈরি, অনলাইনে চলছিল প্রতারণা

Fake Degree Racket



জাল ডিগ্রি ও ডিপ্লোমা তৈরির ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। এ ঘটনায় দুই কেন্দ্রের মালিক ও সেখানে কর্মরত চার ছাত্রীকে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, আসামিরা এ পর্যন্ত ৫ শতাধিক ব্যক্তির ভুয়া ডিগ্রি ও ডিপ্লোমা তৈরি করেছেন এবং এসব ডিগ্রির ভিত্তিতে অনেকেই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বড় বড় পদে চাকরি করছেন। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে ব্যস্ত পুলিশ।




সানলাইট কলোনির কিলোকড়ি গ্রামে অবস্থিত মাউন্টেন ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজি শিক্ষাকেন্দ্রে ভুয়া ডিগ্রি ও ডিপ্লোমা তৈরি হচ্ছে বলে তথ্য পায় সাইবার পুলিশ। তথ্যের পরে, সাইবার থানার ইনচার্জ কুলদীপ শেখাওয়াতের তত্ত্বাবধানে ইন্সপেক্টর মনোজ ভাস্কর এবং এসআই মোহিতের একটি বিশেষ দল গঠন করা হয়েছিল। অভিযান চালায় দলটি।




এখানে চার তরুণীকে গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা গেছে। গাজিয়াবাদ, ইউপির বাসিন্দা রেখা, জৈতপুর, দিল্লির বাসিন্দা পুনম, সরোজিনী নগরের বাসিন্দা দীপিকা এবং সফদরজং এনক্লেভের বাসিন্দা অমিতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, বিবিএ, বিসিএ ও এমসিএ ডিগ্রি নেওয়া হয়েছে। আধা ঘণ্টায় যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি দিতেন।




তাদের কাছ থেকে ছয়টি মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, প্রিন্টার, সিল, জাল মার্কশিট, ডিগ্রি, সার্টিফিকেট, রেকর্ড রেজিস্টার ও পেমেন্ট স্লিপ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করার পরে, পরিদর্শক মনোজ ভাস্করের দল সোমবার তাদের বাড়ি থেকে কেন্দ্রের মালিক রেহান, তৈমুর নগরের বাসিন্দা এবং উত্তম নগরের বাসিন্দা কাইফকে গ্রেপ্তার করে। এখান থেকে যারা ভুয়া ডিগ্রি ও ডিপ্লোমা পেয়েছে তাদের খোঁজ করছে পুলিশ। মালিকদের ব্যাংক হিসাব তল্লাশিতে লক্ষাধিক টাকার লেনদেন ধরা পড়েছে।




পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জানান, প্রায় এক বছর ধরে এই কেন্দ্রটি চলছে। তারা ইউপিআই বা অনলাইনের মাধ্যমে জাল ডিগ্রি তৈরির জন্য টাকা নিত। টাকা নিয়ে তারা যেকোনো অনুমোদিত ও বড় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি দিত।




দক্ষিণ-পূর্ব জেলা পুলিশ কর্মকর্তাদের মতে, অভিযুক্তরা Shined.com থেকে ডিগ্রিধারী এবং স্বল্প শিক্ষিতদের তথ্য নিতেন। তথ্য নেওয়ার পর তারা যুবকদের সঙ্গে যোগাযোগ করত। আসামিরা ১০ হাজারে ডিপ্লোমা এবং ২৫ হাজারে যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি দিতেন। এমনকি এখান থেকে ডিগ্রি নেওয়া ব্যক্তিদের প্রাইভেট চাকরি করার পরামর্শ দিতেন বলে জানা গেছে। রেখা, দীপিকা এবং অমিতা এখানে টেলিফোন অপারেটর ছিলেন।