বিধায়কের দেওয়া অ্যাম্বুলেন্স পরে পঞ্চায়েতের আস্তাকুড়ে, উদাসীন পঞ্চায়েত প্রধান


Ambulance



2011 সালে তৃণমূল কংগ্রেস পঞ্চায়েত দখলের পর 2013-14 সাল নাগাদ এলাকার বাসির স্বার্থে বিধায়ক বনমালী হাজরার বিধায়ক তহবিলের অর্থে একটি অ্যাম্বুল্যান্স দেওয়া হয় বর্ধমান 1নং ব্লকের ক্ষেতিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে। তৎকালীন ক্ষেতিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রধান রায়ান এবং ক্ষেতিয়া এলাকার মানুষের পরিষেবা দিতে বিনা ভাড়ায় বরাৎ দেয় রায়ান প্রত্যাশা ওয়েল ফেয়ার সোসাইটিকে। প্রায় চার পাঁচ বছর চালানোর পর অ্যাম্বুলেন্সটি ফিরিয়ে দেয় ক্ষেতিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে। এর পর থেকে পঞ্চায়েতে আস্তাকুড়ে ফেলে রাখা হয়েছে বিধায়কের দেওয়া রোগী পরিষেবা অ্যাম্বুলেন্সটি। 




2016 সালে ফের ক্ষমতায় আসে তৃণমূল কংগ্রেস।ভাতার বিধানসভার বিধায়ক হন সুভাষ মন্ডল।এরপর সুভাষ মন্ডলের বিধায়ক তহবিলের অর্থে ফের দেওয়া হয় আরো একটি অ্যাম্বুলেন্স।সঠিক পরিচালনা অভাবে সেটিও ফেলে রাখা হয় পঞ্চায়েতেয় শেডের নিচে।




সূত্রের খবর শাসক দলের দুই বিধায়কের গোষ্ঠি কোন্দল দীর্ঘ দিনের।বর্তমান পঞ্চায়েতে প্রধান ও পরিচালন কমিটির এক অংশ সুভাষ মন্ডলের। তাই বিধায়ক বনমালী হাজরার দেওয়া অ্যাম্বুলেন্সে চালাতে নারাজ বর্তমান পঞ্চায়েত বোর্ড। সেই কারনেই বনমালী হাজরার দেওয়া অ্যাম্বুলেন্সেটি ব্যবহার না করে পঞ্চায়েতের আস্তাকুড়ে ফেলে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ।



ক্ষেতিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রধান বলেন, আমরা আসার আগে থেকেই খারাপ হয়ে পড়ে আছে বিধায়ক বনমালী হাজরার দেওয়া অ্যাম্বুলেন্সেটি। কোনো মতেই সেটি মেরামত সম্ভব নয়। বিধায়ক বনমালী হাজরার দেওয়া অ্যাম্বুলেন্সে বলেই কি চালানো সম্ভব নয় প্রশ্নের কোনো উত্তর মেলেনি প্রধানের কাছ থেকে।



রায়ান প্রত্যাশা ওয়েল ফেয়ার সোসাইটি সম্পাদক সুখেন্দু কোনার বলেন, পঞ্চায়েতর সাথে আমাদের লিখিত চুক্তি হয়েছিল এক বছরের। বাকী তিন চার বছর মৌখিক ভাবে চালিয়েছি।চুক্তি ছিলো মাত্র তিন শো টাকার বিনিময়ে ক্ষেতিয়া এবং রায়ান এলাকার রোগীদের পরিষেবা দিতে হবে।এর জন্য পঞ্চায়েতে কোনো টাকা পয়সা দিতে হবে না।অ্যাম্বুলেন্সেটি ভালো অবস্থাতেই আমরা ফিরিয়ে দিয়েছিলাম।



জেলা যুব কংগ্রেসের সভাপতি গৌরব সমাদ্দার বলেন একজেকস্টিং জিনিস গুলো ব্যবহার না করে আবার নতুন জিনিস কিনে আনছে। এভাবেই জনসাধারণের টাকা নয়ছয় করছেন রাজ্য সরকার। এতেও কাট মানি আছে বলে দাবী করেন গৌরব বাবু।