ডাক্তারের অভাবে ধুঁকছে শালতোড়ার কাশতোড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র


Saltora Hospital



রঞ্জিত ঘোষ,বাঁকুড়া:



চিকিৎসকই নেই, চিকিৎসা হবে কী করে ? অগত্যা ডাক্তারের অভাবে দীর্ঘ দিন ধরে বন্ধের মুখে বাঁকুড়ার শালতোড়া ব্লকের কাশতোড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র। সেখানে গেলে মনে হয় যেন কোনও ধ্বসংস্তূপ। যেখানে স্বাস্থ্য পরিষেবাকে আরো উন্নত করতে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সরকার সেখানে ধুঁকছে শালতোড়ার কাশতোড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র।ঝোপজঙ্গলে ঢেকে গিয়েছে স্বাস্থ্য কেন্দ্র। 




রাতের অন্ধকারে চলে মদের আসর । পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কোনও বালাই নেই। আশপাশের নানা গ্রামের প্রায় কয়েক হাজার বাসিন্দা এই প্রাথমিক কেন্দ্রের উপরে নির্ভরশীল। বাসিন্দাদের অভিযোগ, এখানে কোনও চিকিৎসক আসেন না। তাই রোগ হলে তাঁরা এ দিকে আসেনই না। তাঁরা জানান, বছর কয়েক আগেও রোজ চিকিৎসকের দেখা মিলত। ওষুধও পাওয়া যেত। সে সব এখন অতীত। এখন প্রাথমিক চিকিৎসাটুকুও হয় না ।



এখন কেন্দ্রটি সামলান স্বাস্থ্যকর্মী সোনালী গরাই ও ফার্মাসিস্ট গনেশ চন্দ্র মন্ডল।

গনেশ বাবু জানান ডাক্তার না আসায় রোগীদের বিনা প্রেসক্রিপশনে দরকারি ঔষধ তিনিই দেন, এভাবেই চলছে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে। তাঁর দাবি, রোজ রাতে চোরের উপদ্রব হয়। হাসপাতালটিতে নেই কোনো পাহারাদারও।




স্থানীয় বাসিন্দা অমিও মিশ্র জানান, “বেশ কয়েক বছর ধরে রোগী দেখা বন্ধ এখানে। শেষ কবে চিকিৎসক এসেছিলেন তাও জানা নেই!”

ধনঞ্জয় মিশ্র নামের আরেক স্থানীয় বাসিন্দার কথায়, “হাতের কাছে সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্র থাকা সত্ত্বেও পরিষেবা না পেয়ে বিনা চিকিৎসায় মরতে হচ্ছে অনেককে।"




এইসব এলাকার মানুষজনকে উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়ার জন্য ছুটতে হয় শালতোড়া ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কিংবা ৬০ কিলোমিটার দূরে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। তাই এলাকার মানুষজন চায় এখানে উন্নত মানের একটি হাসপাতাল গড়ে উঠুক !




এ বিষয়ে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শ্যামল সোরেন বলেন যে , সেখানে ডাক্তার রয়েছে। তবে আমাদের চিকিৎসাকর্মীর সংখ্যা একটু কম পরিমানে রয়েছে। আমরা এর কাগজপত্র স্বাস্থ্য দফতরে পাঠিয়েছি তারা তার পর্যালোচনা করছেন যেখানে মানুষের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে সেই জায়গাগুলোতে চিকিৎসক পর্যাপ্ত পরিমানে রাখা হবে। তবে কাশতোড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যিনি দায়িত্বে রয়েছেন তিনি কেনো নিয়মিত হাসপাতালে যাচ্ছেন না তা স্থানীয় বি এম ও এইচ এর সাথে আলোচনা করে দেখছি ।