ইচ্ছাশক্তিকে ভর করে রং তুলি নিয়ে খাতায় ছবি আঁকতে আঁকতে আজ সে একজন শিল্পী
রামকৃষ্ণ চ্যাটার্জী: আসানসোল:-
কথায় আছে ইচ্ছে থাকলে উপায় হয় আর এই ইচ্ছাশক্তিকে ভর করে অনেকেই নানা ধরনের শিল্পকলা করে থাকে। সে সাধারণী হোক বা স্পেশাল চাইল্ড হোক শারীরিক প্রতিবন্ধকতা কে দূরে রেখে মনের জোরে একদিন খাতা রং পেন্সিল নিয়ে বসে এক শিশু আর তারপর থেমে থাকিনি সুকল্প ঘটক। ছোট থেকেই ইচ্ছে ছিল কিছু করে দেখাবার। সেইমতো রং তুলি নিয়ে খাতায় ছবি আঁকতে আঁকতে আজ সে একজন শিল্পী। শিল্পীর চিত্রকলা দেখে কেউ বুঝবে না যে সুকল্প ঘটক একজন স্পেশাল চাইল্ড।
সুকল্প ঘটকের হাতে আঁকা বিভিন্ন চিত্র স্থান পেল আসানসোলের বিদ্যাসাগর আর্ট গ্যালারিতে। শুক্রবার বিকেলে ফিতে কেটে এই চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন সুকল্পের শিক্ষক শ্যামল গাঙ্গুলী । এরপর প্রদীপ প্রজ্জলন করেন শিল্পাঞ্চলের খ্যাতনামা শিল্পী মন্দিরা প্রতিহার। এই চিত্রপ্রদর্শনীতে দর্শকের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। খুশি সুকল্পের শিক্ষক থেকে শুরু করে পরিবারের সকলে। আশা একদিন সুকল্পের এই চিত্র প্রদর্শনী শিল্পাঞ্চল ছেড়েও দেশের বড় বড় শহরে প্রদর্শিত হবে।
শিক্ষক শ্যামল গাঙ্গুলি বলেন আমাদের উৎসাহিত বলতে ওর নিজের ভিশন নিজস্বতা আছে একটা আর সেই নিজস্বতা কে আমি কোনদিন ভাঙতে চাইনি। ও ওর মতো করে কাজ করে সেটা দেখে আমি একদিন ইন্সপায়ার করি তাতে ও খুব আনন্দ পায় এটা দেখে আমার কাছে বিরাট আনন্দ পাওয়া। ও স্পেশাল চাইল্ড। আর আগামীদিনে বিরাট ভাবে ও রিচ করবে। ওর একটিভিটি ওর ভেতরের ভাবনার জন্য ও আগামীদিনে অনেক বেশি এগিয়ে যেতে পারবে সেটা আমি আশা করছি।
অন্যদিকে সুকল্পের বাবা তরুণ ঘটক বলেন আমি খুব একটা বুঝি না কিন্তু আমার ভীষণ ভালো লাগছে আর স্যার বলেন এই আঁকা সম্মন্ধে কোনো মন্তব্য করা চলে না। শিশুদের আঁকা নিয়ে মন্তব্য করতে পারবো না। সবাই যখন প্রসংসা করে তখন আমারো ভালো লাগে। আমার ছেলে অনেক জায়গায় পুরস্কার পেয়েছে, আলতা মিরা আর্ট গ্যালারি, অঙ্কন প্রভাকর থেকে, বোম্বে থেকে পুরস্কার পেয়েছে, পাড়ায় অনেক কম্পিটিশন হয়েছে বসে আঁকো প্রতিযোগিতা করে পুরস্কার পেয়েছে। আমি রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করব যে ওর আর্থিক হিসাবে খুবই টানাপোড়েন যদি একটা চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়া হয় এই আবেদন টুকুই জানাবো।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊