Pakistan PM: পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী হলেন শাহবাজ শরিফ

Shehbaj Sarif




ইমরানের গদিচ‍্যুতের পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হলেন শাহবাজ শরিফ। ৭৫ বছরের ইতিহাসে পাকিস্তানে কোনও প্রধানমন্ত্রী তাঁর সময়সীমা পূর্ণ করতে পারেননি। পারেননি ইমরানও। আস্থা ভোটে পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে হারার পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সড়তে হয় ইমরানকে। পাকিস্তানে ফের ক্ষমতায় ফিরল শরিফ পরিবার।




নওয়াজ শরিফের ভাই এই শাহবাজ শরিফ। PML (N)-এর প্রেসিডেন্ট ছাড়াও অন্য একটি পরিচয় আছে শাহবাজ শরিফের। পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের তিনবার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। সেখানকার সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের মুখ্যমন্ত্রীও তিনিই!




২০১৮ সালে পাক ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির সদস্য হন তিনি। শনিবার মধ্যরাতে ইমরান খান গদিচ্যূত হওয়ার পর তিনি বলেন, ' তিনি কোনও বদলার রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন না। এই ফল পাকিস্তানের সাধারণ মানুষের ইচ্ছেতেই হয়েছে।' পাকিস্তানের সুদিন ফিরতে চলেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।




শনিবার মধ‍্যরাতে নাটকীয় পরিস্থিতিতে গোটা পাকিস্তান জুড়ে জারি হয় লাল সতর্কতা। মধ‍্যরাতেই অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে সুপ্রিমকোর্টে শুনানি হয়, হাজির হন প্রধান বিচারপতিও। সুপ্রিমকোর্টের বাইরে মোতায়েন হয় পাক সেনাও। পাকিস্তানের স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার ইতিমধ্যে ইস্তফা দেন। আস্থাভোটের ঠিক আগে স্পিকার-ডেপুটি স্পিকারের ইস্তফার জেরে তৈরি হয়েছে নজিরবিহীন পরিস্থিতি।গোটা পাকিস্তান জুড়ে জারি হয় লাল সতর্কতা।




মধ্যরাতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী (Pakistan Prime Minister) পদ থেকে অপসারিত হন ইমরান খান (Imran Khan)। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টাতেই ইমরানের বিরুদ্ধে আস্থাভোট (Trust Vote) হওয়ার কথা ছিল কিন্তু প্রথমে ভোটাভুটির সময় পিছিয়ে দেওয়া হয়। তার পর দীর্ঘ সময় ধরে চলে চাপানউতর। শেষমেশ রাত ১১টা বেজে ৫৮ মিনিটে শুরু হয় ভোটাভুটি। তাতে ৩৪২ আসনের পাকিস্তান অ্যাসেম্বলিতে ইমরান সরকারের বিরুদ্ধে ১৭৪ জন ভোট দেন। পাকিস্তানের ইতিহাসে ইমরানই প্রথম প্রধানমন্ত্রী আস্থাভোটে হেরে সরতে হল যাঁকে। আবার পূর্বসূরি সকলের মতোই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কার্যকালের মেয়াদ সম্পূর্ণ হয়নি তাঁরও।




২০১৮ সালে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন ইমরান। বেশ কয়েক মাস ধরে ইমরানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মাথাচাড়া দিচ্ছিল। ইমরান সরকারের বিরুদ্ধে অপশাসন তো বটেই, সরকারি কোষাগারের টাকা অপ্রয়োজনে খরচের অভিযোগ ওঠে। ধীরে ধীরে ক্ষোভ জমা হতে হতে তা গণ আন্দোলনে পরিণত হয়। ফলশ্রুতি হিসেবে ইমরান সরকারের বিরুদ্ধএ অনাস্থা প্রস্তাব জমা পড়ে। দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর শনিবার শেষমেশ ভোটাভুটি সম্পন্ন হল। সরলেন ইমরান খান।