দুয়ারে সরকার প্রকল্পের ব‍্যয়িত অর্থ না পাওয়ায় ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতের উন্নয়নের কথায় ক্ষোভ প্রকাশ কয়েকটি গ্রাম পঞ্চায়েতের 


Burdwan news



সঞ্জিত কুড়ি পূর্ব বর্ধমান সদর :-



বুধবার পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসনের ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতের উন্নয়নের কথা জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিকের বাধায় পৌঁছাতে পারল না সাধারণ মানুষের কাছে। আর এই ঘটনায় রীতিমতো সমালোচনার ঝড় উঠেছে জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক রামশংকর মণ্ডলের বিরুদ্ধে। 



এদিন বর্ধমান সংস্কৃতি লোকমঞ্চে জেলার ২৩টি পঞ্চায়েত সমিতি এবং ২১৫টি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানদের নিয়ে ৪টি উন্নয়ন মূলক প্রকল্পের নিরিখে পুরষ্কৃত করার কর্মসূচি নেওয়া হয়। তার মধ্যে ১০০ দিনের কাজ, মিশন নির্মল বাংলা, বাংলা আবাস যোজনা এবং দুয়ারে সরকার প্রকল্পে ভালভাবে ক্যাম্প করার জন্য পুরষ্কৃত করা হয়। যদিও বেশ কিছু গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান এদিন ক্ষোভ ব্যক্ত করে জানিয়েছেন, দুয়ারে সরকার প্রকল্প করতে গিয়ে তাঁদের যে অর্থ ব্যয় হয়েছে তা এখনো তাঁদের দেওয়া হয়নি। ফলে তাঁরা সংকটে পড়েছেন। 




এদিকে, এদিন এই অনুষ্ঠানের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয় সাংবাদিকদের। জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক জেলার সাংবাদিকদের এই আমন্ত্রণ জানান। কিন্তু অনুষ্ঠানস্থলে যাবার পর সাংবাদিকদের বসার জায়গা না থাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। 




এরপরই জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক সাংবাদিকদের জানান, প্রয়োজন হলে সাংবাদিকরা ব্যালকনিতে সাময়িকভাবে বসতে পারেন। অনুষ্ঠান শুরু হলে ছবি সংগ্রহ করেই বেড়িয়ে যাবার কথাও তিনি জানান। আর এরপরেই অপমানিত বোধ করে সাংবাদিকরা অনুষ্ঠান বয়কট করেন। এই ঘটনায় জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিকের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। 




জেলা প্রশাসন সহ অনুষ্ঠানে আসা বিধায়ক থেকে জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, জেলা তথ্য সংস্কৃতি আধিকারিকের বাধায় রাজ্য সরকারের এই উন্নয়নের কথা এই ঘটনায় সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারল না। জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিকের এই আচরণ বিরোধীদের অক্সিজেন জোগাবে। 




অন্যদিকে, এই ঘটনা সম্পর্কে জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া জানিয়েছেন, এটা ঠিকই এদিনের এই ঘটনার ফলে জেলার উন্নয়নের খবর সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারল না। কেন জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক এই কাজ করলেন তা তাঁর কাছ থেকে জানতে চাওয়া হবে। এই ঘটনায় জেলাশাসক সহ জেলা প্রশাসনের অন্যান্য আধিকারিকের সঙ্গেও এদিন শম্পা ধাড়া আলোচনা করেন। 




অন্যদিকে, এদিনের এই ঘটনা সম্পর্কে বিজেপির জেলা সহ সভাপতি শ্যামল রায় জানিয়েছেন, এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিকের এই আচরণের ফলে এটা পরিষ্কার হল যে রাজ্যের তৃণমূল সরকারের আমলে সাংবাদিকদের স্বাধীন কাজকর্মে বাধা দেওয়াই কাজ। 




একইসঙ্গে শ্যামলবাবু এদিন অভিযোগ করেছেন, এদিন এই অনুষ্ঠানে পঞ্চায়েত স্তরের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয় প্রকাশ হয়ে পড়ত সাংবাদিকরা থাকলে। তাই সাংবাদিকদের বাইরে বার করে দেওয়া হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, তাঁরা দীর্ঘদিন ধরেই বলছেন রাজ্য সরকারের পঞ্চায়েত স্তরের অনিয়ম, দুর্নীতি মাত্রাছাড়া হয়েছে এদিন সাংবাদিকরা থাকলে তা প্রকাশিত হয়ে যাবার ভয়েই এই কাজ করা হয়েছে। কার্যত তাঁদের অভিযোগেই শিলমোহর দিয়েছেন জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক।