বিজেপি নেতার মুখে কন্যাশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, দুয়ারে সরকার !
রামকৃষ্ণ চ্যাটার্জী: আসানসোল:-
ভিন্নসুরে জিতেন্দ্র তিওয়ারির টুইট ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক রাজনৈতিক মহলে। রাজ্য সরকারের কন্যাশ্রী, সবুজসাথী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মত দুয়ারে সরকারের পরিষেবার প্রভাব পড়েছে আসানসোল লোকসভা উপনির্বাচনে। মমতা সরকারের জয়গান বিজেপি নেতার মুখে !
প্রসঙ্গ ; আসানসোল লোকসভা উপনির্বাচনে বিপুল ভোটে হার হয়েছে বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পালের। হারের কারণ নিয়ে শুরু হয়েছে নানা ব্যাখ্যা। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দাবি করেছেন সন্ত্রাসের কারণে তাঁদের পরাজয়। অন্যদিকে বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পালও একই দাবি করেছেন। এবার ভিন্নসুরে কথা বললেন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারি। তিনি টুইট করে দাবি করেন, রাজ্য সরকারের কন্যাশ্রী, সবুজসাথী, লক্ষ্মীভাণ্ডারের মত দুয়ারে সরকারের পরিষেবার প্রভাব পড়েছে আসানসোল লোকসভা উপনির্বাচনে।
এই টুইটের মিনিট ২০ পর আবার একটি টুইট করেন তিনি। সেখানে দাবি করেন ২০২১ সালের ভোট পরবর্তী হিংসা আর সন্ত্রাসের প্রভাব এখনও রয়েগেছে। বহু মানুষ ভয়ে বুথমুখী হননি। এই টুইট নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক।
তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি রাজ্য সরকার মানুষের জন্য পরিষেবা দিচ্ছেন। একথা তাঁরা আগেই বলেছিলেন। এখন বিজেপি নেতৃত্বও একই দাবি করেছেন। তৃণমূল সরকার মানুষের পাশে থাকে সর্বদা। বিজেপি নয়। উপনির্বাচনের ফলাফলেই তা প্রমাণিত।
অন্যদিকে সন্ত্রাসের তত্ব উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব অভিজিৎ ঘটক। তিনি বলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি সুবুদ্ধি হয়েছে কারণ উনি হয়তো বুঝতে পেরেছেন যে রাজ্য সরকার এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে প্রকল্পগুলো করেছে সেগুলোতে সাধারন মানুষ অনেক উপকৃত হচ্ছে। সেই জন্যেই বিজেপির হার, এ কথাটা আমরা প্রতি প্রচারে বলেছি। আজ বিজেপি হারার পরে টুইট করে সেই কথাটি জিতেন্দ্র তেওয়ারি জানিয়েছেন, যাক এটা শুনে আমাদের ভালই লাগলো। আরো অন্য ব্যাপারে যদি বলেন যে বিজেপি কে ভয় দেখিয়ে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি সে ক্ষেত্রে বলবো একজন রাজনৈতিক নেতা এ ধরনের কথা বলা উচিত নয় কারণ কি বিজেপি ৩ লক্ষ ভোট পেয়েছে। তাহলে যেখানে তিন লক্ষ ভোট পায় সেখানে কি তারা ভয় পাইনি। তাহলে কি জামুরিয়া পাণ্ডবেশ্বর রানীগঞ্জে ভয় পেয়েছে? এই কথাগুলো ঠিক নয়।
তিনি আরও বলেন- মানুষ বুঝতে পেরেছে, বিজেপিকে প্রত্যাখ্যান করেছে, মানুষ জানে যে বিজেপি সাধারণ গরিব মানুষের পাশে দাঁড়ানো দল নয়। যদি দাঁড়ানোর দল থাকতো তাহলে দিন দিন এত দ্রব্যমূল্য কখনোই হতো না। এখন ১০০০ টাকা রান্নার গ্যাস প্রতিদিন মূল্যবৃদ্ধি বেড়েই চলেছে এর নিয়ন্ত্রণ রাখার ক্ষমতা নেই। আজ সাধারণ মানুষ যাবে কোথায়। আর বালিগঞ্জের ব্যাপারে দেখেছেন বালিগঞ্জের মানুষ হয়তো সিপিএম কে ভোট দিয়েছে আজ সেখানে সিপিএম দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊