গৃহে কোনদিন অন্নের অভাব হবে না, আজ দেবী অন্নপূর্ণার পূজা
অন্ন দিয়ে যিনি সকলের দুঃখ, দারিদ্র্য দূর করেন তিনিই তো মা অন্নপূর্ণা। মা অন্নপূর্ণার একহাতে থাকে অন্নের পাত্র, অন্য হাতে হাতা। দেবী পার্বতীরই আর এক রূপ হল দেবী অন্নপূর্না। পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে দেবী পার্বতী ভিক্ষারত শিবকে অন্নপ্রদান করে দেবী অন্নদা বা অন্নপূর্ণা নাম প্রাপ্ত হন।
পৌরাণিক কাহিনী মতে, দেবী পার্বতীর সঙ্গে দেবাদিদেবের মতবিরোধ হওয়ায় দেবী কৈলাস ত্যাগ করেন। তারপরই শুরু হয় মহামারি এবং খাদ্যের হাহাকার। ভক্তগণকে এই বিপদ থেকে উদ্ধারের জন্য দেবাদিদেব নিজ কাঁধে তুলে নেন ভিক্ষার ঝুলি। কিন্তু দেবীর মায়ায় ভিক্ষারও আকাল ঘটে। সেই সময় মহাদেব শোনেন কাশীতে এক নারী সকলকে অন্ন দান করছেন। এরপর দেবাদিদেব কাশীতে গিয়ে দেবীর কাছে ভিক্ষা গ্রহণ করে ভক্তগণকে মহামারি এবং খাদ্যাভাব থেকে রক্ষা করেন। দেবী যে কেবল মহাদেবের ঝুলি পূর্ণ করেন তাই নয়, দেবীর কৃপায় ঘুচে যায় সংসারের সকল দুঃখ-কষ্ট ও খাদ্যাভাব। আজও পবিত্র কাশীধামে চৈত্র শুক্ল অষ্টমীতে মা অন্নপূর্ণা অবতীর্ণ হন বলে বিশ্বাস করা হয়।
২০২২ সালের অন্নপূর্ণা পুজোর তিথি ও শুভক্ষণ
বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা অনুসারে অষ্টমী তিথি আরম্ভ - ৮ এপ্রিল, শুক্রবার। বাংলার ২৪ চৈত্র। সময় - রাত ১১টা ০৭ মিনিট।
অষ্টমী তিথি শেষ - ৯ এপ্রিল, শনিবার। বাংলার ২৫ চৈত্র। সময় - রাত ১টা ২৪ মিনিট।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊