দীর্ঘ দু বছর পর ফের অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মীদের নিয়ে বিশেষ অনুষ্ঠান আয়োজিত হল বিন্নাগুরি সেনাছাউনিতে


Binnaguri




জলপাইগুড়ি, জয়ন্ত বর্মন




অবসরপ্রাপ্ত সৈনিকরা তার অবসরকালীন থেকে শুরু করে নানান ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হন। তার পরিবারের লোকেরা অনেক সময় কি করবেন, কোথায় যাবেন সেই সম্পর্কে বুঝে উঠতে পারেন না। তাদেরকে সেই তথ্য জানাতে, শহীদ সেনা জওয়ান দের পরিবারকে শ্রদ্ধা জানাতে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ৬ জন বীর নারী কে সম্মান জানানো হয়। যাদের পরিবারের সদস্যরা শহীদ হয়েছেন।




মূলত কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলার অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মী, বীর নারী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা এই সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন।




এদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জণ বারলা, জলপাইগুড়ি সাংসদ জয়ন্ত কুমার রায় ,লেফটেন্যান্ট জেনারেল তরুণ কুমার আইচ,প্রভিন ছাবরা জিওসি ৩০ মাউন্টেন ডিভিশন, ধূপগুড়ির বিধায়ক বিষ্ণুপাদা রায প্রমুখ।




এদিন অনুষ্ঠানের প্রথমে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়। সেখানে লেফটেন্যান্ট জেনারেল তরুণ কুমার আইচ বলেন," করোনা আবহে গত দু'বছর আমরা একসাথে মিলিত হতে পারি নাই। তাই পাশ্ববর্তী এলাকার অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মীদের নিয়ে একটি সমাবেশ করা হয়েছে। এখানে আমরা বীর নারী, প্রাক্তন সেনাকর্মী থেকে শুরু সবাইকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। তাছাড়া আমরা অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মী ও তাদের পরিবারের পাশে সর্বদা আছি। এখানে অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মীদের সুবিধার্থে বিভিন্ন রকমের শিবির করা হয়েছে।"




এই সমাবেশে উপস্থিত বীর নারী খুশবু মহম্মদ বলেন, "আমি খুব খুশি যে সীমান্তে আমার স্বামী দেশের জন্য শহীদ হয়েছিলেন এবং আজকে আমাকে এখানে সেই সূত্রে ডেকে সম্মান জানানো হলো। আমি আমার একমাত্র মেয়েকেও ওর বাবার মতো সৈনিক বানাতে চাই। আমার কোনো অসুবিধা নেই এবং আমার পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনী আছে।"




এরপর অডিটোরিয়াম হলে মূল অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী জন বারলা, জলপাইগুড়ির সাংসদ ডাঃ জয়ন্ত রায়, লেফটেন্যান্ট জেনারেল তরুণ কুমার আইচ সহ সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা। সেখানে 'বীর নারী'দের সংবর্ধনা জানানো হয়। এবং অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মীরা কি কি সুযোগ সুবিধা পেতে পারে সে সম্পর্কে তথ্য প্রদান করা হয়।