পুরোহিত বলছেন- যদিদং হৃদয়ং মম তদস্তু হৃদয়ং তব, আর পাত্র বলছেন- তোমরা ভেবো না এক বোতল রক্ত জোগাড় হয়েছে


যদিদং হৃদয়ং মম তদস্তু হৃদয়ং তব



বিয়ের আসরে পুরোহিত বলছেন ' যদেতৎ হৃদয়‍‌ং তব তদস্থ হৃদয়ং মম, যদিদং হৃদয়ং মম তদস্তু হৃদয়ং তব," আর পিঁড়িতে বসা পাত্র বলে চলেছে, ডাক্তার বাবু কে বলেছি, তোমরা ভেবো না এক বোতল রক্ত জোগাড় হয়েছে," এমনি ঘটনার সাক্ষ্যী থাকলো জলপাইগুড়ির এক বিয়ে বাড়ি।  আসলে বিয়ের পিঁড়িতে যে সমাজকর্মী স্বরূপ মন্ডল বসে ।

এভাবেই নিজের দীর্ঘ সামাজিক কাজকর্মের জগতের মধ্যে থেকে কিছুটা সময় ধার করে বৃহস্পতিবার স্থানীয় পাত্রী রত্নার হাতে হাত রেখে সাংসারিক জীবনের সূচনা করতে দেখা গেলো জলপাইগুড়ি শহর তথা ডুয়ার্সের বন বস্তিতে যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ, করোনা অতিমারী বা দুর্ঘটনাগ্রস্ত মানুষ থেকে বন্যপ্রাণ তাদের পাশে ছুটে যাওয়া সমাজকর্মী এবং সদ্য পুরসভা নির্বাচনে তিন নম্বর ওয়ার্ড থেকে জয়ী তৃণমূল প্রার্থী আইনজীবী স্বরূপ মন্ডলকে।

বিয়ের পিঁড়িতে বসেও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে লাগাতার নিজের উপস্থিতি বজায় রাখলেন বিভিন্ন ভাবে সমস্যায় পরে ফোন করা মানুষ গুলোর।

বিয়ে প্রসঙ্গে ,বর স্বরূপ মন্ডলের বক্তব্য , পরিবারের সবার সাহায্য সহযোগিতা নিয়ে অগ্নিসাক্ষ্যি করে রত্নার হাতে হাত রেখে এক নতুন জীবনের পথে চলা শুরু করলাম, তবে এর জন্য কখনই থেমে যাবে না, মানুষের কাজ এবং পরিষেবা । 

বরযাত্রী এসেছেন অনেকেই স্বাভাবিক ভাবেই বর যখন আইনজীবী তখন বরযাত্রী দের মধ্যে এই সমাজের অংশগ্রহণ বেশি হবে এটাই স্বাভাবিক। সহ কর্মীর সাংসারিক জীবনে প্রবেশের সাক্ষী থাকলেন জলপাইগুড়ি বার এসোসিয়েশনের বহু বিশিষ্ঠ আইনজীবী সহ সম্পাদক স্বয়ং।

স্বরূপ বাবুর জীবনের আরেকটি অধ্যায়ের সূচনাকে স্বাগত জানিয়ে বার এসোসিয়েশনের সম্পাদক ,জানান, আমরা একটি সমাজ ,আমাদের সমাজের এক সহ কর্মীর আজ মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে সাংসারিক জীবন শুরু হলো, আমাদের পক্ষ থেকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা সহ শুভকামনা রইলো নবদম্পতিদের প্রতি।