স্কুল খোলা নিয়ে ফের এক জনস্বার্থ মামলা হাইকোর্টে
বহুদিন ধরে স্কুলের পঠন পাঠন বন্ধ। মাঝখানে নবম থেকে দ্বাদশের ক্লাস আরম্ভ হয়েও বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ফের আরম্ভ হলেও নতুন করে করোনার জেরে এবছরের শুরু থেকেই বন্ধ স্কুল। আর স্কুল খোলার দাবিতে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা জমা পড়েছে। এবার স্কুল খোলা নিয়ে (School Reopen) কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) দায়ের দ্বিতীয় জনস্বার্থ মামলা।
এআইএসএফ রাজ্য সভাপতি সৌমেন হালদার "স্কুল খোলা নিয়ে পলিসি তৈরি করুক রাজ্য সরকার" এমনটা আবেদন জানিয়েই মামলা করেছেন।
মামলাকারীর আবেদন, "স্কুল খোলা নিয়ে রাজ্য সরকার সুনির্দিষ্টভাবে একটা পরিকল্পনা করুক। কোভিড পরিস্থিতিতে কীভাবে স্কুল খোলা রাখা যায় তা নিয়ে একটা নীতি তৈরি করুক রাজ্য। আদালত অবিলম্বে নির্দেশ দিক এরাজ্যে স্কুল খোলার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। ৫০ শতাংশ হোক বা অন্যান্য শর্তসাপেক্ষে হোক, অনেক কিছুই এই পরিস্থিতিতে খোলা রয়েছে।'' "সেখানে শুধুমাত্র স্কুল বা কলেজ এগুলো কেন বন্ধ থাকবে?'' প্রশ্ন মামলাকারীর।
সার্বিকভাবে পড়ুয়াদের ক্ষতি হচ্ছে বলে দাবি মামলাকারীর। আবেদনে বলা হয়েছে, "প্রায় দুবছর হতে চলল শিক্ষাব্যবস্থা মারাত্মক সঙ্কটজনক পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। মাঝে কিছু খুললেও স্কুল কলেজ বন্ধ রাখার যে সিদ্ধান্ত বারবার নেওয়া হয়েছে তাতে পঠনপাঠন ব্যাহত হচ্ছে। সার্বিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে পড়ুয়ারা। একইসঙ্গে বিনামূল্যে শিক্ষার সুবিধা অনলাইন ক্লাসের ইন্টারনেটের খরচের জন্য সেটাও পড়ুয়ারা পাচ্ছে না। এক্ষেত্রেও সরকারের নীতি তৈরির করা উচিত।’’
কলকাতা হাইকোর্টে মঙ্গলবার মামলা দায়ের করেন আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, “সংবিধানে সবার জন্য বিনামূল্যে শিক্ষার অধিকারের কথা বলা আছে। বর্তমানে অনলাইনে পড়াশোনার জন্য পড়ুয়াদের মধ্যে ডিজিটাল বিভাজন করা হচ্ছে। কারণ, ল্যাপটপ, স্মার্টফোন, হাই স্পিড ইন্টারনেট সবার কাছে থাকে না। এই ব্যয়ভার বহনের ক্ষমতাও প্রত্যেকের থাকে না। এই পদ্ধতিতে পড়াশোনা চালাতে হলে রাজ্যের সব ছাত্র-ছাত্রীদের ই-লার্নিং এর সমস্ত গ্যাজেটের খরচ রাজ্য সরকারকে বহন করতে হবে।’’
7 মন্তব্যসমূহ
চটজলদি ব্যবস্থা নিক সরকার
উত্তরমুছুনতারা তারি খোলাই ভালো হয়
উত্তরমুছুনখুলে দিক স্কুল কলেজ
উত্তরমুছুনGood news
উত্তরমুছুনGood news
উত্তরমুছুনThat's good.. etar dorkar chilo
উত্তরমুছুনমিটিং মিছিল ভোট ফট মেলা খেলা পূজার্চা সামাজিক অনুষ্ঠান মল সিনেমা হোটেল পানশালা,etc সবই চলবে ওদের সাথে নাকি করোনা বাড়ি আস্তে পারেনা শুধু স্কুল বন্ধ থাকবে কারণ শিশুরাই দেশ ও দশের ভবিষ্যত। আহা কি সুন্দর অবস্থান। এদিকে জে ওদের শিক্ষার মেরদণ্ড টাই ভেঙে যাচ্ছে না ভেঙে দেওয়া হচ্ছে বুঝতে পড়ছি না । কাদের সার্থে এনিয়ম, প্রশ্ন জাগছে সাধারণ মানুষের মনে। সর্বত্র নেট নেই,সবার কাছ ল্যাপটপ,ডেস্কটাপ আইফোন,অন্দ্রেডফোন নেই। যেখানে নুন আনতে পান্তা ফুরায় তারা কি করে 28 দিন অন্তর দনের টাকা ভরবে?
উত্তরমুছুনআমার মনে হয় প্রতিদন অন্ততপক্ষে ২/৩ টি শিফটে ক্লাস নিলে সব দিক রক্ষা হবে। প্রয়োজনে অভিভাবক মিটিং ডেকে মতামত নিলে আরো ভালো হয়।
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊